প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রবিবার, ব্যাঙ্ককে। ছবি- টুইটারের সৌজন্যে।
ভারতে আর আমলাতান্ত্রিক লাল ফিতের ফাঁসে আটকে থাকে না শিল্প, ব্যবসা সংক্রান্ত ফাইল। অনুমোদনে দেরি হয় না। অনেকটাই সরল হয়েছে করব্যবস্থা। হয়েছে জনমুখী।
বিদেশি বিনিয়োগ টানতে থাইল্যান্ডের লগ্নিকারীদের উদ্দেশে রবিবার এই বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ব্যাঙ্ককে আদিত্য বিড়লা গ্রুপের ব্যবসার সুবর্ণ জয়ন্তী পালনের একটি অনুষ্ঠানে। সেখানে হাজির ছিলেন থাইল্যান্ডের বহু শিল্পপতি, বিনিয়োগকারী। তিন দিনের সফরে শনিবার ব্যাঙ্ককে পৌঁছন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
ভারতে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে এ দিন প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, ‘‘এখনই ভারতে বিনিয়োগের আদর্শ সময়। বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ছে। ব্যবসা করা অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে ভারতে। জীবনযাত্রা হয়েছে সহজতর। উৎপাদন বেড়ে চলেছে। পাশাপাশি, আমলাতন্ত্রের লাল ফিতের ফাঁস, দুর্নীতি, ঘুষের বিনিময়ে প্রকল্পের বরাত দেওয়া আর করের হার কমতে শুরু করেছে।’’
বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে ভারতে বিদেশি লগ্নির কয়েকটি পরিসংখ্যানেরও উল্লেখ করেন মোদী। বলেন, ‘‘আমি বলব, বিনিয়োগের জন্য এখন বিশ্বের সেরা অর্থনীতির দেশগুলির একটি ভারত। গত পাঁচ বছরে ভারতে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ ২৮ হাজার ৬০০ কোটি মার্কিন ডলার। যেটা আরও উল্লেখের, তা হল, আগের ২০ বছরে ভারতে যে পরিমাণ বিদেশি লগ্নি হয়েছিল, গত পাঁচ বছরে বিনিয়োগের পরিমাণ তার অর্ধেক। ২০১৪-য় যখন প্রথম ক্ষমতায় আসি, তখন ভারতের জিডিপি ছিল দুই লক্ষ কোটি ডলার। ৬৫ বছরে জিডিপি সেখানে পৌঁছেছিল। আর আমার পাঁচ বছরে সেটা পৌঁছেছে তিন লক্ষ কোটি ডলারে।’’
আরও পড়ুন- বিকল্প রাস্তা খোলা আছে, প্রয়োজনে ‘সদর্থক ভূমিকা’ নেবে তারা, শিবসেনাকে ইঙ্গিত এনসিপির
আরও পড়ুন- অস্ত্র তুলে নিতে শুরু করেছে স্থানীয়রা, জঙ্গি দলে যোগ বাড়ছে, কাশ্মীরে উদ্বিগ্ন প্রশাসন
তাঁর সরকারের স্বপ্ন যে ভারতকে পাঁচ লক্ষ কোটি ডলারের অর্থনীতির দেশে উন্নীত করা, তারও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
দৃশ্যতই আত্মবিশ্বাসী প্রধানমন্ত্রী এর পরেই তোলেন কর কাঠামোর সরলীকরণের প্রসঙ্গ। বলেন, ‘‘আমি খুশি ভারতে এখন করব্যবস্থাকে জনমুখী করে তোলা সম্ভব হয়েছে। করের হার কমেছে। আমরা করব্যবস্থাকে আরও উন্নত করতে চাই।’’
তিন দিনের থাইল্যান্ড সফরে প্রধানমন্ত্রী মোদীর ‘এজেন্ডা’য় রয়েছে ‘আসিয়ান’ গোষ্ঠীর দেশগুলির সঙ্গে ভারতের বৈঠক, পূর্ব এশীয় দেশগুলির বৈঠক ও ‘আরসেপ’ শীর্ষ সম্মেলন।