কৃষক নেতা অখিল গগৈকে সামনে রেখে, সব আঞ্চলিক দলকে যৌথ ভাবে রাজনৈতিক দল গড়ে লড়তে নামার ডাক দিল ৭০ সংগঠনের যৌথ মঞ্চ। —ফাইল চিত্র।
আসু ও অসম জাতীয়তাবাদী যুব ছাত্র পরিষদ গত কাল ঘোষণা করেছে তারা পৃথক দল গড়ে ২০২১ সালের নির্বাচনে নামবে। প্রার্থী দেবে ৮০-১০০টি আসনে। কিন্তু আলাদা দল নয়, কৃষক নেতা অখিল গগৈকে সামনে রেখে, সব আঞ্চলিক দলকে যৌথ ভাবে রাজনৈতিক দল গড়ে লড়তে নামার ডাক দিল ৭০ সংগঠনের যৌথ মঞ্চ।
মাওবাদী যোগাযোগের অভিযোগে গত বছর ডিসেম্বর থেকে কারাবন্দি অখিল। কারাগারেই করোনায় আক্রান্ত হন। তা সারলেও ফের বুকে ব্যথায় অসুস্থ অখিলকে আজ হাসপাতালে আনা হয়। আসুর পৃথক দল গড়ার প্রেক্ষিতে, কারাগার থেকে চিঠি তখনই দলের সদস্যদের হাতে তুলে দেন অখিল।
আসু জানিয়েছিন, সিএএ বিরোধী আন্দোলনের সময়ই জনতা পৃথক আঞ্চলিক দল গড়ে ভোটে লড়ার দাবি জানায়। সেই দাবি মেনেই আসুর একাংশ নেতা ও এজেওয়াইসিপি নতুন রাজনৈতিক দল গড়বে। কিন্তু অখিলের মতে, আঞ্চলিক সংগঠনগুলি ভিন্ন ভিন্ন দল গড়ে ভোটে লড়লে ভোট ভাগাভাগি হয়ে বিজেপিরই সুবিধা হবে। তাই সব আঞ্চলিক দলকে এক হয়ে অসমবাসীকে একটি পতাকা, একটি প্রতীকের তলায় আনতে হবে। তবেই বিজেপিকে হারানো যাবে, কংগ্রেস-এআইইউডিএফের অশুভ জোট বিফল হবে, ধর্মের নামে রাজনীতি বন্ধ হবে।
কৃষক মুক্তির নেতৃত্বে ৭০টি সংগঠন আজ বৈঠক করে এক মঞ্চে আসার সিদ্ধান্ত নেয়। জানানো হয়, একজোট হওয়া নিয়ে আসুর সঙ্গে আগামী কাল বৈঠক হবে। সিএএ বিরোধী আন্দোলনও রাজ্যের সর্বত্র ফের ছড়িয়ে দেওয়া হবে। আরও সিদ্ধান্ত হয়, রাজনৈতিক দল গড়ার আগেই যদি রাজ্যে উপ-নির্বাচন হয়, অখিলকে সেখানে সর্বসম্মত নির্দল প্রার্থী করা হবে।
আসু নীতিগত ভাবে সব আঞ্চলিক শক্তির সঙ্গে হাত মেলাতে তৈরি থাকলেও তারা পৃথক অস্তিত্ব ছাড়তে ও অখিলকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী মেনে নিতে রাজি না-ও হতে পারে। সেই সঙ্গে কৃষক মুক্তি তার সঙ্গী দলগুলির সঙ্গে আসুর নীতি-আদর্শগত কিছু ফারাকও রয়েছে। পরবর্তী বৈঠকের উপরে তাই আঞ্চলিক মহাজোটের ভাগ্য নির্ভর করছে। কিন্তু এটা নিশ্চিত, কংগ্রেস যে বিজেপি-বিরোধী মহাজোট গড়ার প্রস্তাব রেখেছিল তার পালের হাওয়া অনেকটাই কেড়ে নিয়েছে গত দু’দিনের ঘটনাক্রম।