Puducherry

শান্তিতেই ভোট তিন রাজ্য আর পুদুচেরিতে

অসমে বিজেপি-কংগ্রেস দুই শিবিরই এত দিন দাবি করে এসেছে ১২৬ আসনের বিধানসভায় তাদের জোটই শতাধিক আসনে জিতবে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ এপ্রিল ২০২১ ০৪:৫৩
Share:

চেন্নাইয়ের মাইলাপোরে পিপিই কিট পরে ভোটদান ডিএমকে নেত্রী কানিমোঝির। (ডান দিকে) কেরলের কান্নুরে ভোটদান মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের। মঙ্গলবার। ছবি: পিটিআই।

বিতর্ক হয়েছে, তবে পশ্চিমবঙ্গের মতো সংঘর্ষ নয়। মোটের উপর শান্তিপূর্ণ ভাবেই আজ শেষ হল কেরল, তামিলনাড়ু, পুদুচেরি ও অসমের ভোট।

Advertisement

তামিলনাড়ুতে ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে নজর কাড়লেন দক্ষিণী সিনেমার দুই সুপারস্টার রজনীকান্ত ও কমল হাসন। তামিল সিনেমার আর এক জনপ্রিয় অভিনেতা বিজয় চেন্নাইয়ের বুথে পৌঁছেছিলেন সাইকেলে চেপে। পেট্রল, ডিজেলে ঊর্ধ্বমুখী দাম নিয়ে প্রতিবাদ জানাতে নায়কের সাইকেল যাত্রার সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। ভোট দিয়েছেন এডিএমকে নেতা তথা মুখ্যমন্ত্রী ই পলানীস্বামী, ডিএমকে নেতা এমকে স্ট্যালিন। তবে ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ পড়ায় বুথে যাওয়া হয়নি জয়ললিতার বান্ধবী ভি কে শশিকলার। এ নিয়ে আইনি পথে যাওয়ার কথা ভাবছেন তিনি।

এ দিকে, ভোটের দিনেও শবরীমালা নিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছে এলডিএফ, ইউডিএফ ও বিজেপি। শবরীমালা মন্দিরে মহিলাদের প্রবেশে ছাড়পত্র দিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়কে কেরল সরকার রূপায়ণ করার চেষ্টা করলেও শুরু থেকেই সরব হয়েছেন বিরোধীরা। ভোটের প্রচারেও বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল শবরীমালা। মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন আজ দাবি করেছেন, রাজ্যে মানুষের স্বার্থে কাজ করে থাকে যে বাম গণতান্ত্রিক জোটের সরকার, শবরীমালায় অধিষ্ঠিত দেবতা আয়াপ্পা তার সঙ্গেই রয়েছেন! বিরোধী দলনেতা রমেশ চেন্নিথালার দাবি, আয়াপ্পা ও তাঁর ভক্তদের রোষের মুখে পড়তে হবে বিজয়নের সরকারকে।

Advertisement

অন্য দিকে অসমে বিজেপি-কংগ্রেস দুই শিবিরই এত দিন দাবি করে এসেছে ১২৬ আসনের বিধানসভায় তাদের জোটই শতাধিক আসনে জিতবে। কিন্তু বিজেপি নেতা তথা নেডা জোটের চেয়ারম্যান হিমন্তবিশ্ব শর্মা আজ ভোটদানের পরে জানান, প্রথম দফায় ৪৭টির মধ্যে ২২টি ও দ্বিতীয় দফায় ৩৯টির মধ্যে ২৫টি এবং তৃতীয় দফায় ৪০টি আসনের মধ্যে ২২টিতে জিতবে বিজেপির নেতৃত্বাধীন মিত্রজোট। অর্থাৎ বিজেপি জোটের সম্ভাব্য আসন হিমন্তের হিসেবেই ৮৭তে থেমে গিয়েছে। তাঁর মতে, দ্বিতীয় স্থানে থাকবে ইউডিএফ। কংগ্রেসের ফল হবে শোচনীয়।

ভোটপর্বের শুরুতে মনে হয়েছিল দিশাহারা কংগ্রেস বিজেপির সামনে দাঁড়াতেই পারবে না। কিন্তু সময় যত এগিয়েছে ততই বিজেপির জয় কঠিন মনে হয়েছে। প্রথম কারণ ইউডিএফের সঙ্গে কংগ্রেসের হাত মেলানো, যে কাজ, মারা যাওয়ার কিছু দিন আগে সম্পন্ন করে গিয়েছিলেন তিন বারের কংগ্রেসি মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement