বই-বোমার তালিকায় এ বার যোগ হল শরদ পওয়ারের আত্মকথা। তাতে মরাঠি স্ট্রংম্যান স্পষ্টই জানালেন, স্বাধীনচেতা ছিলেন বলেই সনিয়া গাঁধী তাঁকে প্রধানমন্ত্রী করেননি।
সাম্প্রতিক অতীতে একের পর এক নেতা ও প্রাক্তন আমলার বইয়ে চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে রাজনীতিতে। পওয়ারের ‘লাইফ অন মাই টার্মস-ফ্রম দ্য গ্র্যাসরুটস অ্যান্ড করিডরস অব পাওয়ার’ নিয়ে তেমনই বিতর্কের সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। পওয়ার বইয়ে জানিয়েছেন, কোনও ‘স্বাধীনচেতা’ নেতাকেই প্রধানমন্ত্রী করতে চাননি সনিয়া। ১৯৯১ সালে ১০ জনপথের স্বঘোষিত ঘনিষ্ঠেরা সনিয়াকে বোঝান, পওয়ারকে প্রধানমন্ত্রী করা ঠিক হবে না। কারণ, তিনি তরুণ। দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতার রাশ হাতে রাখতে পারবেন। তাকে গাঁধী পরিবারের স্বার্থে আঘাত লাগবে।
পওয়ারের দাবি, এর পরেই পি ভি নরসিংহ রাওয়ের কথা ভাবা হয়। প্রবীণ নেতা রাও ততদিনে শারীরিক কারণে মূলস্রোতের রাজনীতি থেকে সরেছেন। পওয়ার দাবি করেছেন, ১০ জনপথের ঘনিষ্ঠদের মধ্যে অর্জুন সিংহ ছিলেন। তাঁর প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ইচ্ছে ছিল। অর্জুন ভেবেছিলেন, কিছু দিনের মধ্যেই রাওয়ের উত্তরসূরি হিসেবে তিনি প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসবেন।
১৯৯৬-৯৭ সালে লোকসভায় কংগ্রেস নেতা থাকাকালীনও সনিয়া তাঁকে উপেক্ষা করেছেন বলে দাবি পওয়ারের। শেষে সনিয়ার ‘বিদেশিনি’ পরিচয় নিয়ে বিতর্কে কংগ্রেস ছাড়েন পওয়ার। পরে অবশ্য হাত ধরেন কংগ্রেসেরই। গত কাল তাঁর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে রাজনীতিকদের চাঁদের হাট বসেছিল বিজ্ঞান ভবনে। হাজির ছিলেন সনিয়াও। ওই অনুষ্ঠানকে রাষ্ট্রপতি ভোটে প্রার্থী হওয়ার প্রস্তুতি বলে মনে করছেন রাজনীতিকদের একাংশ। এক কংগ্রেস নেতার কথায়, ‘‘পওয়ারকে সনিয়ার বিশ্বাস না করাই স্বাভাবিক। পওয়ার কখন কী করেন বোঝা যায় না।’’