মমতা, পবন এবং পিকে। ফাইল চিত্র।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে দিল্লিতে গত নভেম্বরে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু মাত্র ন’মাসের মধ্যেই ‘মোহভঙ্গ’ হল বিহারের প্রাক্তন সাংসদ তথা অবসরপ্রাপ্ত আইএফএস অফিসার পবন বর্মার। বৃহস্পতিবার টুইট করে তিনি তৃণমূল ছাড়ার কথা ঘোষণা করেন।
তৃণমূলনেত্রীর উদ্দেশে টুইট করে পবন লিখেছেন, ‘প্রিয় মমতাজি, অনুগ্রহ করে তৃণমূল থেকে আমার ইস্তফা গ্রহণ করুন। আমাকে দলে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো এবং আপনার সমর্থন ও সৌজন্যের জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। যোগাযোগের অপেক্ষায় রইলাম। আপনাকে শুভকামনা জানাই।’
ভুটান ও সাইপ্রাসে ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করেছেন প্রাক্তন কূটনীতিক পবন। সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দেওয়া ইস্তক তিনি ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর (পিকে)-এর ‘ঘনিষ্ঠ’ হিসেবেই পরিচিত। ২০২১-এ নীলবাড়ির লড়াইয়ে জিতে বাংলায় তৃতীয় বার ক্ষমতা দখলের পর নভেম্বর মাসে দিল্লি গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। সেই সময় পিকের উদ্যোগেই প্রাক্তন জেডি(ইউ) সাংসদ পবন তৃণমূলে এসেছিলেন।
পবনের সঙ্গেই দুই প্রাক্তন সাংসদ, হরিয়ানার অশোক তনওয়ার এবং বিহারের কীর্তি আজাদও সেই সময় মমতার উপস্থিতিতে কংগ্রেস ছেড়ে যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলে। গত এপ্রিলে তৃণমূল ছেড়ে অরবিন্দ কেজরীবালের উপস্থিতিতে আম আদমি পার্টি (আপ)-তে যোগ দেন অশোক। তবে পবন তাঁর পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে এখনও কিছু ঘোষণা করেননি। তবে ‘তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে’ নীতীশ বিজেপির সঙ্গ ছাড়ার পরেই তৃণমূল ছাড়লেন প্রাক্তন জেডি(ইউ) সাংসদ।
প্রসঙ্গত, জেডি(ইউ)-তে যোগদানের পরে ২০১৪ সালে বিহার থেকে রাজ্যসভায় নির্বাচিত হয়েছিলেন পবন। এক সময় পিকের সঙ্গেই তিনি নীতীশ কুমারের পরামর্শদাতা দলের সদস্যও ছিলেন। নীতীশের বিজেপি-ঘনিষ্ঠতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে এবং সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ)-এর বিরোধিতা করে ২০২০ সালের ২৯ জানুয়ারি জেডি(ইউ) থেকে বহিষ্কৃত হন পিকে। সে দিন পিকের সঙ্গে নীতীশ বহিষ্কার করেছিলেন পবনকেও।