প্রতীকী ছবি।
ছুরি দিয়ে বার বার মাথা কুপিয়ে শাশুড়িকে খুন করার অভিযোগ উঠল তাঁরই পুত্রবধূর বিরুদ্ধে। আরও অভিযোগ, শাশুড়ির চোখও উপড়ে নিন তিনি। পরে গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ওই পুত্রবধূ। তবে পড়শিরা অগ্নিদগ্ধ মহিলাকে উদ্ধার করে পরে হাসপাতালে ভর্তি করান।
বিহারের পারসা বাজার গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার সকালে। পুলিশ জানাচ্ছে, ওই দিন সকালে ৩৩ বছর বয়সি ললিতা দেবী তাঁর ৫৫ বছর বয়সি শাশু়ড়ি ধর্মশীলা দেবীর মাথায় ছুরি দিয়ে একের পর এক কোপ মারেন। রক্তাপ্লুত অবস্থায় শাশুড়ি মাটিতে পড়ে গেলে তাঁর একটি চোখও উপড়ে নেন পুত্রবধূ। ধর্মশীলার স্বামী ও পুত্র সেই সময় বাড়িতে ছিলেন না।
পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার পর গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেন পুত্রবধূ। কিন্তু আশপাশের বাড়ি থেকে লোকজন ছুটে এসে তাঁকে উদ্ধার করেন। ৪০ শতাংশ দগ্ধ অবস্থায় ললিতা দেবীকে নিয়ে যাওয়া পটনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে তাঁকে ভর্তি করানো হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে রক্তমাখা ছুরি ও বৃদ্ধার ওপড়ানো চোখ-সহ দেহ উদ্ধার করেছে।
পড়শিদের কাছে খবরাখবর নিয়ে পুলিশ জানতে পেরেছে, সন্তান না হওয়ার জন্য ললিতা দেবীকে রোজ শাশুড়ির গঞ্জনা সহ্য করতে হত।
ধর্মশীলার স্বামী রাম কুমার পরে তাঁর পুত্রবধূর বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে একটি এফআইআর করেছেন।