বিজ্ঞাপনের দ্বারা বিভ্রান্তিকর তথ্য দেওয়া হচ্ছে ক্রেতাদের। এই অভিযোগে রামবদেবের আয়ুর্বেদিক সংস্থা পতঞ্জলির বিরুদ্ধে ১১ লক্ষ টাকার জরিমানা ধার্য করেছে উত্তরাখণ্ডের এক আদালত। পতঞ্জলির পাঁচটি ইউনিটের বিরুদ্ধে ধার্য করা এই জরিমানা এক মাসের মধ্যে দিতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
এর আগে ২০১২ সালে উত্তরাখণ্ডের রূদ্রপুর ল্যাবরেটরিতে পতঞ্জলি আয়ুর্বেদের সর্ষের তেল, নুন, আনারসের জ্যাম, বেসন ও মধু মান নির্ণায়ক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হওয়ায় সংস্থার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিল জেলা খাদ্য সুরক্ষা দফতর। ফুড সিকিউরিটির ৫২ ও ৫৩ নম্বর ধারা এবং ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড (প্যাকেজিং অ্যান্ড লেবেলিং) রেগুলেশনের ২৩.১ (৫) ধারা অনুযায়ী পতঞ্জলি আয়ুর্বেদের প্রোডাক্ট যথেষ্ট নিরাপদ নয় বলে রিপোর্ট প্রকাশ করে জেলা খাদ্য সুরক্ষা দফতর।
চলতি বছরের জুলাই মাসে অ্যাডভার্টাইজিং ওয়াচডগ অ্যাডভার্টাইজিং স্ট্যান্ডার্ডস কাউন্সিল অব ইন্ডিয়া পতঞ্জলির বিজ্ঞাপনী প্রচারকে ‘বিভ্রান্তিকর’ বলে দাবি করে। পতঞ্জলির ‘কচ্চি ঘানি সর্ষের তেল’-এর বিজ্ঞাপনে দাবি করা হয়েছে, অন্য সংস্থার সর্ষের তেলে হেক্সেন নামক নিউরোটক্সিন সলভেন্ট এক্সট্রাকশন থেকে তৈরি হয়। যার কোনও ভিত্তি নেই বলে পতঞ্জলির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে দ্য কনজিউমার কমপ্লেন্টস কাউন্সিল। এই অভিযোগের কোনও গ্রহণযোগ্য জবাবও দিতে পারেনি পতঞ্জলি।
এ ছাড়াও পতঞ্জলি ফ্রুট জুস-এর বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছে অন্যান্য সংস্থার বেশি দামি ফ্রুট জুসে পাল্প-এর(ফলের শাঁস) পরিমাণ কম থাকে। ক্যাটল ফিড ‘পতঞ্জলি দুগ্ধামৃত’-এর বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছে অন্যান্য সংস্থা এই জাতীয় প্রডাক্টে ৩-৪ শতাংশ ইউরিয়া মেশায়। এই সব দাবির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগেরও গ্রহণযোগ্য জবাব পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: এ বার বাজারে আসছে পতঞ্জলি জিন্স