—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
ট্রেনে খাওয়ার পরেই অসুস্থ হয়ে পড়লেন যাত্রীরা। অন্তত ৯০ জন যাত্রীর জন্য চিকিৎসক ডাকতে হল। মাঝপথে ট্রেন থামিয়ে চলল চিকিৎসা। যাত্রীরা কিছুটা সুস্থ বোধ করলে আবার ট্রেন রওনা দেয়।
মঙ্গলবার চেন্নাই থেকে গুজরাতের পালীতানা শহরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল ‘ভারত গৌরব ট্রেন’। সেখানে খাবার খাওয়ার পরে ৯০ জন যাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েন। খাদ্যে বিষক্রিয়ার কারণেই এই অসুস্থতা। তবে রেল কর্তৃপক্ষ দায় অস্বীকার করেছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, খাবার তাঁদের নয়। বরং, যাত্রীরাই ওই খাবার এনেছিলেন।
গুজরাতের দিকে যাওয়ার পথে যাত্রীরা অসুস্থ হয়ে পড়লে পুণে স্টেশনে ট্রেনটি থামানো হয়। সেখানে চিকিৎসক আসেন এবং যাত্রীদের ওষুধপত্র দেন। তাঁরা সুস্থ হলে ৫০ মিনিট পরে ট্রেনটি আবার রওনা দেয়।
মধ্যরেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক শিবরাজ মানসপুরে জানান, একটি বিশেষ প্রয়োজনে ট্রেনটি ব্যক্তিগত ভাবে ভাড়া নিয়েছিলেন ওই যাত্রীরা। গুজরাতে এক ধর্মীয় অনুষ্ঠানে তাঁরা যোগ দিতে যাচ্ছিলেন। ট্রেনে যে খাবার তাঁরা খেয়েছেন, তা আদৌ রেলের দেওয়া নয়। রেলের প্যান্ট্রিকারে যাত্রীদের আনা খাবারই প্রস্তুত করা হয়। তা খেয়ে ৯০ জন অসুস্থ হয়ে পড়েন।
অসুস্থ যাত্রীরা প্রত্যেকেই জানান, তাঁদের পেট ব্যথা করছিল, পেটখারাপ হয়েছিল। বমি বমি ভাব এবং মাথাব্যথার মতো উপসর্গ ছিল। সোলাপুর থেকে পুণের দিকে যাওয়ার মাঝে সকলে একসঙ্গে অসুস্থ বোধ করলে পুণে স্টেশনে ট্রেন থামাতে বাধ্য হন চালক।