প্রতীকী ছবি।
উড়ানের অপেক্ষায় ৯ ঘণ্টা বিমানবন্দরে আটকে রইলেন এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানযাত্রীরা। অথচ তাদের স্বাচ্ছন্দের খেয়াল রাখা তো দূর অস্ত, তেষ্টায় জলও এগিয়ে দিলেন না এয়ার ইন্ডিয়া বিমান সংস্থার কর্মীরা। উপরন্তু কখন বিমান রওনা হতে পারে, জানতে চাওয়া হলে, তাঁরা যাত্রীদের জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে কোনও তথ্য তাঁরা দিতে পারবেন না।
রবিবার রাতের ঘটনা। বেঙ্গালুরুর কেম্পেগৌড়া বিমানবন্দর থেকে মুম্বই যাওয়ার উড়ান এআই ৬১০-এ বোর্ডিংয়ের অপেক্ষা করছিলেন যাত্রীরা। সন্ধে ৭টা ২০ নাগাদ বিমানটির মুম্বই রওনা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যাত্রীদের জানিয়ে দেওয়া হয়, সেটি ছাড়তে ঘণ্টা খানেক দেরি হবে। সেই এক ঘণ্টা অবশ্য পরে বাড়তে বাড়তে ৯ ঘণ্টা পর্যন্ত গড়ায়। তা নিয়েই অসন্তোষ তৈরি হয় যাত্রীদের মধ্যে।
অপেক্ষারত যাত্রীদের মধ্যে শিশু এবং বয়স্করাও ছিলেন। যাত্রীদের অভিযোগ, খাবার জল শেষ হয়ে যাওয়ায়, এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানবন্দর কর্মীদের কাছে জল চাওয়া হয়েছিল। তাঁরা তা দিতে চাননি। এমনকি, বয়স্ক যাত্রীদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করতে অনুরোধ করা হলে, প্রত্যাখ্যান করেন তাঁরা। এক সংবাদ সংস্থাকে যাত্রীরা জানিয়েছেন, এয়ার ইন্ডিয়ার কর্মীরা মুখের উপরেই জানিয়ে দেন, খাবার বা জল দেওয়ার নির্দেশ নেই তাঁদের উপর। একটা সময়ে ধৈর্য্য হারিয়ে কিছু যাত্রী বিমানবন্দরে ক্ষোভ দেখালেও এয়ার ইন্ডিয়ার কর্মীরা জানিয়ে দেন বিমান কখন রওনা হবে, সে ব্যাপারে কোনও তথ্য তাঁদের কাছে নেই।
এয়ার ইন্ডিয়ার ওই বিমানে অন্তত ১০০ জন যাত্রী রবিবার রাত থেকে সোমবার ভোর সাড়ে ৪টে পর্যন্ত বেঙ্গালুরুর কেম্পাগৌড়া বিমানবন্দরে আটকে ছিলেন বলে সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর। তার পর তাঁদের মুম্বইগামী এআই৬১০ উড়ানে সওয়ার হওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়।
ঘটনাচক্রে রবিবার সন্ধ্যায় এই উড়ানটিতে দেরি হওয়ার ঘণ্টা কয়েক আগেই একই রুটে আরও একটি বিমানের যাত্রীরা বিপদে পড়েছিলেন। বেঙ্গালুরু থেকে মুম্বইগামী এআই ৬৪২-এ যাত্রীরা উঠে পড়ার পর সেটি বাতিল করা হয়। যাত্রীদের নেমে আসতে বলা হয় বিমান থেকে। পরে সেই বিমানের যাত্রীদেরও বেশ কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করিয়ে রেখে রাত ১১টা নাগাদ অন্য ১টি বিমানের ব্যবস্থা করা হয়। ২টি ঘটনাতেই এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানের যাত্রীরা তাদের দায়িত্বজ্ঞানহীনতা এবং পরিষেবার অবনতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।