লাইনচ্যুত ডিব্রুগড় এক্সপ্রেসের কামরা। ছবি: পিটিআই।
উত্তরপ্রদেশের গোন্ডায় বৃহস্পতিবার লাইনচ্যুত হয়ে গিয়েছিল চণ্ডীগড় থেকে ডিব্রুগড়গামী ডিব্রুগড় এক্সপ্রেসের ১০ থেকে ১২টি কামরা। সেই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত চার জনের মৃত্যুর খবর জানা গিয়েছে। আহতের সংখ্যা আরও অনেক। ওই ট্রেনের জেনারেল কামরার এক যাত্রী দুর্ঘটনার মুহূর্তের বর্ণনা দিয়েছেন। জানিয়েছেন, তাঁর সন্তানের হাত ভেঙে গিয়েছে এই দুর্ঘটনায়।
সংবাদ সংস্থা এএনআইকে যাত্রী জানিয়েছেন, চণ্ডীগড় থেকে ডিব্রুগড় এক্সপ্রেসে উঠেছিলেন তিনি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্ত্রী এবং পুত্র। ট্রেনের জেনারেল কামরায় উঠেছিলেন তাঁরা। গন্তব্য ছিল বিহার। তার আগে উত্তরপ্রদেশের উপরে লাইনচ্যুত হয় তাঁদের কামরাটি। ওই যাত্রীর কথায়, ‘‘আমরা জেনারেল কামরায় ছিলাম। চণ্ডীগড় থেকে বিহারে যাচ্ছিলাম। আমাদের কামরা লাইনচ্যুত হওয়ার পর আমার ছেলের হাত ভেঙে যায়। আমার স্ত্রী-ও আহত হয়েছেন।’’
ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে যাত্রী বলেন, ‘‘আমি জানি না এই ধরনের একটি ঘটনা কী ভাবে ঘটল। ট্রেন চলছিল ভাল মতোই। আচমকা তীব্র ঝাঁকুনি অনুভব করলাম। আমাদের আস্ত কামরা কাত হয়ে উল্টে গেল। সঙ্গে সঙ্গে আমরা দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছিলাম। আমার ছেলের হাত চাপা পড়ে গিয়েছিল। পরে জানতে পারি, ওর হাত ভেঙে গিয়েছে। হাড়ে চিড় ধরেছে।’’
ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যান রেলের আধিকারিক এবং মেডিক্যাল দলের সদস্যেরা। তাঁরা আহত যাত্রীদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পৌঁছে দেন।
শুধু জেনারেল কামরা নয়, একাধিক বাতানুকুল কামরাও লাইনচ্যুত হয়ে গিয়েছিল ডিব্রুগড় এক্সপ্রেসের। কী কারণে এই দুর্ঘটনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। রেলের তরফে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দুর্ঘটনার পর লাইন মেরামতের জন্য একাধিক ট্রেনের যাত্রাপথ পরিবর্তিত হয়। খোঁজ নেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মাও। মৃতদের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করা হয়েছে। আর্থিক সহায়তা পাবেন আহতেরাও।