উত্তরপ্রদেশের দেওরিয়ায় কংগ্রেসের সভায় অশান্তি। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।
প্রথমে উত্তপ্ত বিতণ্ডা। তারপর মঞ্চের উপরেই হাতাহাতি! ভিডিয়ো ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, দলের পুরুষ সহকর্মীদের একাংশ এক মহিলাকে শারীরিক নিগ্রহ করছেন! অভিযোগ, এ ছবি উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেসের অন্তর্দ্বন্দ্বের! উপলক্ষ, দেওরিয়া বিধানসভা কেন্দ্রের আসন্ন উপনির্বাচন।
নিগৃহীতা তারা যাদব স্থানীয় কংগ্রেস নেত্রী। তিনি দেওরিয়া বিধানসভা উপনির্বাচনে দলীয় মনোনয়নের দাবিদার ছিলেন। কিন্তু সেই আশা পূরণ হয়নি। তারা এবং তাঁর অনুগামীদের অভিযোগ, ওই কেন্দ্রে ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্ত মুকুন্দভাস্কর ত্রিপাঠীকে কংগ্রেস প্রার্থী করেছে।
বিজেপি বিধায়ক জন্মেজয় সিংহের মৃত্যুতে দেওরিয়া আসনটি খালি হয়েছে। আগামী ৩ নভেম্বর পূর্ব-উত্তরপ্রদেশের ওই বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। তার আগে শনিবার দেওরিয়া জেলা কংগ্রেস দফতরে দলের নেতা-কর্মীদের বৈঠক বসেছিল। সেখানে হাজির ছিলেন এআইসিসি-র সম্পাদক সচিন নায়েক। সেখানে তারা এবং তাঁর অনুগামীরা মঞ্চে উঠে বিক্ষোভ শুরু করেন। এর পরেই দু’পক্ষের হাতাহাতি বেধে যায়।
আরও পড়ুন: ‘অনেকে দলিত, মুসলিম, উপজাতিদের মানুষ ভাবে না’, হাথরস কাণ্ডে তোপ রাহুলের
সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে রবিবার সকালে তারা বলেন, ‘‘জেলা কংগ্রেস সভাপতি ধর্মেন্দ্র সিংহ, সহ-সভাপতি অজয় সিংহ এবং আরও দুই স্থানীয় কংগ্রেস নেতা আমাকে শারীরিক লাঞ্ছনা করেছেন। আমি ওঁদের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ জানাব।’’ কংগ্রেস প্রার্থী মুকুন্দ ঘটনার নেপথ্যে রয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি। বলেন, ‘‘হাথরসে গিয়ে রাহুলজি-প্রিয়ঙ্কাজি যখন নির্যাতিতার পরিবারের পাশে দাঁড়াচ্ছে, উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেস তখন ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্তকে টিকিট দিচ্ছে।’’
এই সেই ভিডিয়ো
ধর্মেন্দ্র অবশ্য অভিযোগ উড়িয়ে বলেন, ‘‘বিক্ষোভকারীরা সচিনকে নিগ্রহ করার চেষ্টা করেছিলেন। আমরা তাঁদের বাধা দিয়েছি।’’ যদিও তারার দাবি, ‘‘আমরা এআইসিসি-র সম্পাদককে প্রার্থীর অপরাধমূলক কার্যকলাপ সম্পর্কে অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের কিছু বলতে দেওয়া হয়নি।’’
আরও পড়ুন: সরকার ফেলার চেষ্টা করছেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, বেনজির অভিযোগ জগনমোহনের
জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা এ দিন দেওরিয়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে টুইটারে লেখেন, ‘এ ধরনের বিকৃত মনস্ক ব্যক্তিরা কী ভাবে রাজনীতিতে আসতে পারে! আমরা গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।’