রাজ্যসভা: ইন্দ্রাণী, প্রসেনজিৎদের নাম নিয়ে চর্চা

লোকসভা ও বিধানসভায় টলিউড তারকাদের জিতিয়ে আনার পরে এ বার রাজ্যসভায়ও টলিউডের কয়েকজনের কথা বিবেচনায় রাখছে দল। এই ভাবনায় নাম আছে অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৩:৩০
Share:

শূন্য হবে পাঁচটি আসন। নাম ভাসছে অন্তত দশজনের। এঁদের কেউ কবি, কেউ অভিনেতা, কেউ চিত্রকর। রাজনীতির লোকজনও আছেন। আর এই সব চরিত্র নিয়েই জমে উঠেছে তৃণমূলের রাজ্যসভার সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিয়ে জল্পনা।

Advertisement

লোকসভা ও বিধানসভায় টলিউড তারকাদের জিতিয়ে আনার পরে এ বার রাজ্যসভায়ও টলিউডের কয়েকজনের কথা বিবেচনায় রাখছে দল। এই ভাবনায় নাম আছে অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের। শাসকদলের সঙ্গে সাম্প্রতিক ঘনিষ্ঠতা দেখে দলেরই একাংশ মনে করছেন অভিনেত্রী ইন্দ্রাণী হালদারকেও প্রার্থী করা হতে পারে। বেশ কিছুদিন ধরে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একাধিক কর্মসূচিতে দেখা যাচ্ছে তাঁকে। সেই সঙ্গেই দলের অন্দরে নাম ঘুরছে কবি সুবোধ সরকার ও চিত্রকর শুভাপ্রসন্নেরও। তবে এ নিয়ে দলের অন্দরে এখনও আনুষ্ঠানিক আলোচনা হয়নি। যাঁদের নাম নিয়ে গুঞ্জন, তাঁরা অবশ্য মুখ খুলতে নারাজ। কারণ দলের সকলেই জানেন, ‘বেশি কথায় পাকা ঘুঁটিও কেচে যায় তৃণমূলে’। প্রসঙ্গত, অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীকে রাজ্যসভায় পাঠিয়েছিলেন মমতা। কিন্তু সারদা কেলেঙ্কারি সামনে আসার পরে পদত্যাগ করেছেন তিনি।

এপ্রিল মাসে রাজ্যের যে পাঁচটি আসন শূন্য হবে তার মধ্যে তৃণমূলের হাতে চারটি। এই মুহূর্তে তৃণমূলের যে শক্তি তাতে এই চারটি আসনে জয় নিশ্চিত। শূন্য এই চার আসনের দু’টি মুকুল রায় ও কুণাল ঘোষের। পদত্যাগ করে মুকুল বিজেপিতে। আর কুণালকে সাসপেন্ড করেছে তৃণমূল। তাঁদের জায়গায় এই দু’টি আসনে তৃণমূলের নতুন মুখ কার্যত অনিবার্য। দলের বাকি দুই সাংসদ নাদিমূল হক ও বিবেক গুপ্তর রাজ্যসভার মেয়াদও শেষ হচ্ছে। তাঁদের ফের প্রার্থী করা হবে কি না সেটা দেখার। নতুন প্রার্থী হিসাবে আলোচনায় এসেছেন দলের প্রাক্তন বিধায়ক নির্বেদ রায়ও।

Advertisement

পঞ্চম আসনটি বাম সাংসদ তপন সেনের। রাজ্যসভা ভোটে পাঁচটি আসনের প্রত্যেকটিতে জয়ের জন্য ৫০ বিধায়কের ভোট পেতে হবে। এই প্রয়োজনীয় শক্তি বামেদের নেই। শুধু তাই নয়, সিপিএমের রাজনৈতিক অবস্থানের কারণে আরেক বিরোধী কংগ্রেসের সঙ্গে তাদের বোঝাপড়া হওয়াও কঠিন। শেষপর্যন্ত এই অনিশ্চয়তা থাকলে পঞ্চম আসনেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারে তৃণমূল। দলের চার প্রার্থীকে জেতানোর জন্য প্রয়োজন ২০০ ভোট। তারপরেও তৃণমূলের হাতে অতিরিক্ত থাকবে ১৩টি ভোট। তার সঙ্গে দলত্যাগী বিধায়কদের ভোট যোগ হলে পঞ্চম আসনে তৃণমূলের প্রতিদ্বন্দ্বিতাও বাড়তি মাত্রা যোগ করতে পারে এ বারের রাজ্যসভা নির্বাচনে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement