এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, টিয়া পাখিটি বার বার আওড়াচ্ছিল, “আশু এসেছিল।” তার পরই খুনিদের হদিস মেলে। প্রতীকী ছবি।
ন’বছর আগে খুন হয়েছিলেন এক মহিলা। পুলিশকে সেই খুনিদের চিনিয়ে দিল তাঁরই পোষ্য টিয়া। ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের আগরার।
পুলিশ সূত্রে খবর, ২০১৪ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি নীলম শর্মা নামে ওই মহিলা খুন হয়েছিলেন। ওই দিন তাঁর স্বামী বিজয় শর্মা এবং পুত্র ফিরোজাবাদে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন। বাড়িতে ফিরে দেখেন নীলম রক্তাক্ত অবস্থায় ঘরে পড়ে আছেন। তাঁর পাশে পড়ে ছিল পোষ্য কুকুরের দেহও। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা গিয়েছিল, নীলমকে ১৪ বার এবং কুকরটিকে ৯ বার ছুরি দিয়ে কোপানো হয়েছিল। সেই মামলা ৬ বছর ধরে চলার পর ২০২০ সালে কোভিডে মৃত্যু হয় বিজয়ের। তার পর সেই মামলা চালিয়ে যান তাঁর মেয়েরা।
খুনিদের কিছুতেই হদিস মিলছিল না। তদন্তকারী এক আধিকারিক জানিয়েছেন, সম্প্রতি তদন্তের স্বার্থে আবার বিজয় শর্মার বাড়িতে গিয়েছিলেন তাঁরা। বিজয়ের বাড়িতে খাঁচার মধ্যে একটি টিয়া নজরে আসে তদন্তকারীদের। ওই আধিকারিক জানান, টিয়া পাখিটি বার বার কিছু একটা বলছিল। খুব ভাল করে শোনার পর বুঝতে পারা গিয়েছিল যে, আসলে টিয়া পাখিটি আশুতোষ এবং রানি নামে দুই ব্যক্তির নাম আওড়াচ্ছিল। বার বার বলছিল, “আশু এসেছিল।”
পোষ্য টিয়ার মুখে আশুর নাম শুনে সন্দেহ হয় নীলমের মেয়েদের। তাঁরা পুলিশকে জানান, টিয়া পাখিটি আশুর নাম আওড়াচ্ছিল। এর পরই পুলিশ আশুতোষ এবং রানির খোঁজ শুরু করে। সম্প্রতি তাঁদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। সেই সময় আশুতোষ এবং রানি খুনের কথা স্বীকার করেন। এর পরই গ্রেফতার করা হয় দু’জনকে। আদালতে দোষী সাব্যস্ত হন রানি এবং আশুতোষ। বিচারক তাঁদের দু’জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন।