জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়াতে তাণ্ডবের এই ছবিই দেখা গিয়েছে। পিটিআইয়ের তোলা ফাইল চিত্র।
দিল্লিতে গত এক মাস ধরে চলা পড়ুয়া বিক্ষোভের বিষয়টি আজ উঠে এল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে। সূত্রের খবর, পড়ুয়াদের উপর কেন মাত্রাতিরিক্ত বল প্রয়োগ করা হচ্ছে—দিল্লি পুলিশের কাছে তার ব্যাখ্যা চাওয়া হয় ওই বৈঠকে।
নয়া নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) সংসদে পাশ হওয়ার পর থেকেই গত এক মাস ধরে উত্তাল হয়ে রয়েছে রাজধানী। পড়ুয়াদের সঙ্গেই সিএএ-র বিরোধে পথে নেমেছেন আম নাগরিকেরাও। জামিয়া থেকে জামা মসজিদ একাধিক স্থানে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠি চালাতে হয়েছে পুলিশকে। যাতে আহত হন অনেকে। এই পরিস্থিতিতে আজ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের স্থায়ী কমিটির বৈঠক ডাকা হয়েছিল। বিষয়বস্তু ছিল, দিল্লি ও রাজধানী সংলগ্ন এলাকার বাড়তে থাকা অপরাধ।
সূত্রের খবর, ছাত্র আন্দোলন স্তব্ধ করতে পড়ুয়াদের উপরে যে রকম নির্মম ভাবে লাঠি চালানোর অভিযোগ উঠেছে, তা নিয়ে দিল্লি পুলিশের কমিশনার অমূল্য পট্টনায়কের সামনে উদ্বেগ প্রকাশ করেন একাধিক সাংসদ। আলোচনায় কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম না-নেওয়া হলেও, কেন সর্বত্র ছাত্রদের ঠেকাতে মাত্রাতিরিক্ত বল প্রয়োগ করা হচ্ছে এবং ঘন ঘন ১৪৪ ধারা জারি করা হচ্ছে— তা নিয়েও দিল্লি পুলিশের কাছে কৈফিয়ত চাওয়া হয়। স্থায়ী কমিটির পক্ষ থেকে সুপারিশে বলা হয়, বলপ্রয়োগ হল অন্তিম ধাপ। পুলিশের উচিত পড়ুয়াদের সঙ্গে আরও বেশি করে আলোচনায় বসা এবং আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা। পরিস্থিতি সামলাতে ছাত্র সংসদের নেতাদের সঙ্গে পুলিশের আরও বেশি করে বৈঠকের উপরে জোর দেন কমিটির সদস্যরা।
আরও পড়ুন: ক্যাম্পাসে গিয়ে ঐশীকে প্রশ্ন দিল্লি পুলিশের
ওই বৈঠকের পরে নর্থ ব্লকে স্বরাষ্ট্রসচিব এ কে ভল্লার সঙ্গে বৈঠকে বসেন পুলিশ কমিশনার। প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে দিল্লির সামগ্রিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয় দু’জনের। সূত্রের খবর, পট্টনায়ক স্বরাষ্ট্রসচিব ভল্লাকে জানান গত এক মাসে সিএএ-বিরোধী আন্দোলনে জড়িত থাকার অভিযোগে প্রায় ৯০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আলোচনা হয় শাহিনবাগ নিয়েও।
শাহিনবাগ এলাকার একটি রাস্তা প্রায় এক মাস ধরে অবরোধ করে রেখেছেন আন্দোলনকারীরা। সূত্রের খবর, সেই বিক্ষোভ কী ভাবে তোলা সম্ভব তা নিয়েও আলোচনা হয় দুই শীর্ষ কর্তার।