Ketto

মেয়ের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন ৫০ লক্ষ টাকা, সাহায্য চাইছেন বাবা-মা

‘আমার বাচ্চা, যে সদ্য জন্ম নিয়েছে, ভর্তি হয়েছে? কেন এবং কীভাবে?’ আমি মনে মনে এটাই ভাবছিলাম। আমার চোখ থেকে জল পড়ছিল।

বিজ্ঞাপন প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৭:২৩
Share:

যখন আমার মেয়ের জন্ম হয়েছিল, তখন আমি অত্যন্ত আনন্দে ছিলাম। এতটাই আনন্দ হচ্ছিল যে আমার মুখ থেকে কোনও কথা বের হচ্ছিল না। মেয়েকে দু’হাতে জড়িয়ে ধরে, আমি আনন্দে মেতে উঠেছিলাম।

আমি ধৈর্য্য ধরে অপেক্ষা করছিলাম মেয়ের কান্না শোনার জন্য। অথচ দুঃখের বিষয়, বেশ কয়েক মিনিট কেটে গেলেও আমি তার গলা থেকে একটি আওয়াজও শুনতে পাইনি।

সাহায্য করুন

আমি যখন নার্সকে জিজ্ঞাসা করলাম যে কী হয়েছে, সে প্রথমে উত্তর দিতে ইতস্তত বোধ করল। আমি ক্রমশ আরও বেশি উদ্বিগ্ন এবং হতাশ হয়ে পড়ছিলাম। আমার শরীরের ওই কাঁচা সেলাই নিয়েই আমি বিছানা থেকে উঠে পড়তে যাচ্ছিলাম। ঠিক তখনই আমার পেটের সেলাই ছিঁড়ে যায়।

সাহায্য করুন

নার্স দৌঁড়ে এসে আমায় ধরে। সে বলে, “আপনার বাচ্চাকে অন্য ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়া হয়েছে কারণ তার অবস্থা কিছুটা গুরুতর বলে মনে হচ্ছে। আপনার সেলাই খানিকটা শুকিয়ে যাওয়ার পর আপনি তাকে দেখতে পাবেন।”

সে যা বলল তার পরে আমি আমার কানকে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। মনে হচ্ছিল কেউ আমার মুখে সপাটে চড় মেরেছে।

সাহায্য করুন

‘আমার বাচ্চা, যে সদ্য জন্ম নিয়েছে, ভর্তি হয়েছে? কেন এবং কীভাবে?’ আমি মনে মনে এটাই ভাবছিলাম। আমার চোখ থেকে জল পড়ছিল।

আমি নিজেকে আর শান্তভাবে ধরে রাখতে পারিনি। সদ্য সেলাই ও সংশ্লিষ্ট নার্সকে উপেক্ষা করে, আমি চিকিৎসকের অফিসের দিকে দৌঁড়ে গিয়েছিলাম এবং উত্তর চাইলাম।

সাহায্য করুন

আমার স্বামী আমাকে শান্ত করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু আমি এক মুহুর্তও শান্ত থাকতে পারছিলাম না। আমি আমার মেয়ের কাছে পৌঁছানোর আগেই চিকিৎসকেরা আমার সঙ্গে কথা বলতে শুরু করল। তাঁরা জানালেন, “আপনার শিশুর অবস্থা স্বাভাবিক নয়। তার শ্বাসকষ্টের গুরুতর সমস্যা রয়েছে এবং তার শরীর অত্যন্ত দুর্বল বলে মনে হচ্ছে। একাধিক পরীক্ষার পর, আমরা জানতে পেরেছি যে তার পারকিনসন রোগ রয়েছে। ৪-৫ বছর বয়সে পরিণত হওয়ার পরে তার ৫০,০০,০০০ টাকার একটি অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপনের প্রয়োজন হবে৷ অনুগ্রহ করে মানসিক এবং আর্থিক উভয়ভাবেই এর জন্য নিজেকে প্রস্তুত করা শুরু করুন।”

সাহায্য করুন

সাহায্য করুন

বর্তমানে আমরা অত্যন্ত ভয়ে এবং দুঃখের সঙ্গে জীবনযাপন করছি। আমরা অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারে বড় হয়েছি। আমার স্বামী দিনমজুর। পড়ে থাকা অবশিষ্ট অংশের উপরে আমরা জীবনযাপন করি। এই মূহূর্তে এত টাকা আমরা কোথা থেকে যোগাড় করব?

তাই আপনাদের সকলের কাছে আমার একান্ত অনুরোধ — দয়া করে সাহায্য করুন। আপনাদের সাহায্যই পারে আমার মেয়ের জীবন বাঁচাতে।

এটি একটি বিজ্ঞাপন প্রতিবেদন। কেটো-র সঙ্গে যৌথ উদ্য়োগে প্রকাশিত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন