মা-বাবার সঙ্গে ছোট্ট তেজস্বীনি
১০ বছরের ছোট্ট শিশু তেজস্বিনী ক্রমাগত লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে থ্যালাসেমিয়া নামক এক কঠিন রোগের সঙ্গে। তার মা অর্চনা প্রতিনিয়ত মেয়ের ব্লাড ট্রান্সফিউশনের সময় সঙ্গে থাকেন। কিন্তু মেয়েকে কষ্ট পেতে দেখেও তিনি কিছু করতে পারেন না।
থ্যালাসেমিয়া, যা একটি ব্লাড ডিসর্ডার। এই রোগের ফলে শরীরে স্বাভাবিকের তুলনায় কম পরিমাণ হিমোগ্লোবিন থাকে। যা অ্যানিমিয়া এবং ফ্যাটিগের মুল কারণ। ইতিমধ্যেই তেজস্বিনীকে প্রচুর ব্যাথা বেদনা সহ্য করতে হয়েছে। শুধুমাত্র দারিদ্রতাই, সে এই প্রাণঘাতী রোগের শিকারও। ছোট থেকেই সে এক জন নৃত্য শিল্পী হওয়ার স্বপ্ন দেখেছে। এক জন অত্যন্ত ভাল ছাত্রী এবং একজন ভাল নৃত্যশিল্পী হওয়ায় সে তার সমস্ত শিক্ষক ও বন্ধুদের কাছেও খুব প্রিয়।
একজন যোদ্ধার মতই ক্রমাগত লড়াই করে চলেছে তেজস্বিনী। ব্লাড ট্রান্সফিউশনের জন্য তাকে বহুবার হাসপাতালে যেতে হয়েছে। বর্তমানে তার শারিরীক অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটজনক। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন দিন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তার শরীরের অবস্থা আরও খারাপ হবে এবং তার চিকিৎসায় বিলম্ব হলে তাকে বাঁচিয়ে রাখা আরও সঙ্কটজনক হয়ে উঠবে। ব্লাড ট্রান্সফিউশনের কারণে তার শরীরের অবস্থা এতটাই খারাপ, যে এই অবস্থায় বোন ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্টই একমাত্র উপায়।
১০ বছরের এই ছোট্ট শিশুটিকে বারংবার একাধিক ইন্জেকশনের কষ্ট সহ্য করতে হচ্ছে। তবে বোন ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্ট-এর জন্য এক অনাত্বীয়ের সঙ্গে তার ম্যাচ পাওয়া গিয়েছে।
পরিবারে তেজস্বিনীর বাবা একমাত্র মানুষ যিনি উপার্জন করতে সক্ষম। তিনি একজন লাইসেন্স এজেন্ট হিসাবে কাজ করেন। তাঁর মাসিক আয় মাত্র ১০,০০০ টাকা। চিকিৎসার জন্য অর্থ যোগার করতে তাঁদের অনেক কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে। এমনকি বাচ্চার চিকিৎসার জন্য বন্ধুবান্ধবদের কাছ থেকেও সাহায্য চাইতে হয়েছে তাঁদের এবং লোনও নিতে হয়েছে।
তার চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন ৩১৫০০০০ টাকা। তেজস্বীনির পরিবারের একার পক্ষে এই অর্থ যোগার করা অসম্ভব। তেজস্বিনী এবং তার পরিবারের আপনার সাহায্য অত্যন্ত প্রয়োজন। তাঁদের এই অন্ধকার সময় একমাত্র আপনিই পারেন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে।