বিয়ের পাঁচ দিনের মাথায় এসেছিল পার্সেল বোমা।
বিয়েতে পাঠানো উপহারের প্যাকেট খুলতেই কানে তালা ধরানো বিস্ফোরণ। গত ফেব্রুয়ারি মাসে ওডিশার বহু চর্চিত পার্সেল বোমা বিস্ফোরণে দু’জনের মৃত্যুর ঘটনায় এক কলেজ শিক্ষককে গ্রেফতার করল পুলিশ। জানা গিয়েছে, প্রতিহিংসা থেকেই পুঞ্জিলাল মেহের নামের ওই শিক্ষক নিজের হাতে পার্সেল বোমা তৈরি করে পাঠিয়েছিলেন বিয়ের উপহার হিসেবে।
দিনটা ছিল চলতি বছরেরই ২৩ ফেব্রুয়ারি। বিয়ের ঠিক পাঁচ দিনের মাথায় পার্সেলে একটি উপহার পেয়েছিলেন বোলানগিরের বাসিন্দা পেশায় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার সৌম্য এবং তাঁর স্ত্রী রিমা সাহু। প্যাকেট খুলতেই বিস্ফোরণ। মৃত্যু হয় সৌম্য ও তাঁর ঠাকুমার। মারাত্মক ভাবে ঝলসে যান রিমা। কিন্তু কেন বিস্ফোরণ? কারাই বা যুক্ত? ওডিশা পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ জানায়, পরতে-পরতে রহস্য, নানান মোড় এবং হরেক বিভ্রান্তি পেরিয়ে তাঁরা রহস্যর সমাধান করে ফেলেছেন।
আসলে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছিল বিস্ফোরণের ‘মোটিভ’ নিয়ে। সৌম্যর সঙ্গে কারওর শত্রুতা জেরেই কি হত্যাকাণ্ড? তদন্তে এমন কোনও সূত্রের সন্ধান না মেলায় তদন্তের মুখ ঘুরে যায় অন্য দিকে। আর তাতেই উঠে আসে সৌম্যর মা যে কলেজে পড়ান, সেখানকারই ইংরেজির শিক্ষক পুঞ্জিলাল মেহেরের নাম। জানা দিয়েছে, পুঞ্জিলালের জায়গায় সৌম্যর মাকে প্রিন্সিপ্যাল পদে বসানোয় তিনি নাকি খেপে গিয়েছিলেন। ছক কষেছিলেন, ওই পরিবারকে শেষ করে দেবেন।
শেলি, কিটসের কবিতা নিয়ে যাঁর পড়াশোনা, সেই পুঞ্জিলাল নাকি সাত মাস ধরে ইউটিউব থেকে বোমা তৈরি করা শিখেছিলেন। পুলিশের দাবি, প্রথমে ছোটখাটো বোমা বানিয়ে হাত পাকানোর পর তিনি তৈরি করেন পার্সেল বোমা। পুঞ্জিলালের বাড়ি থেকে মিলেছে বোমা তৈরির সরঞ্জাম, পেন ড্রাইভ। তাঁকে জেরা করা হচ্ছে।