মুম্বইয়ের প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার পরমবীর সিংহ। ছবি: সংগৃহীত।
রাজ্যের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের মামলায় এক সদস্যের তদন্ত কমিশনের কাছে হাজিরা দিলেন মুম্বইয়ের প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার পরমবীর সিংহ। তার পরেই তাঁর বিরুদ্ধে দারি হওয়া গ্রেফতারি পরোয়ানা বাতিল করল কমিশন। সোমবার প্রাক্তন এই পুলিশকর্তা কমিশনে হাজিরা দেওয়ার পরেই এই সিদ্ধান্তের কতা জানানোর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ১৫ হাজার টাকা দিতেও পরমবীরকে নির্দেশ দিয়েছে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি কে ইউ চান্ডিয়ালের কমিশন।
এ দিন কমিশনে হাজির হয়ে পরমবীর এক হলফনামায় জানিয়েছেন, তাঁর জবানবন্দি দেওয়ার মতো কিছু নেই এবং তাঁকে যেন তদন্ত কমিশনের তরফে জেরা না করা হয়। এ দিন পরমবীরের মতোই কমিশনের সামনে হাজির হন আর এক বরখাস্ত হওয়া পুলিশ অফিসার শচিন ওয়াজ়ে। তাঁকে এবং পরমবীরকে একই ধঘরে বসানো নিয়ে আপত্তি তোলেন অনিল দেশমুখের আইনজীবী। তিনি কমিশনের কাছে অভিযোগ করেন, এক ঘরে বসার সুযোগ নিয়ে পরমবীর প্রভাবিত করতে পারেন শচিনকে। কমিশনকে তিনি বলেন, ‘‘ পরমবীর এবং ওয়াজ়ে একই ঘরে বসে রয়েছেন গত এক ঘণ্টা ধরে। পরমবীর সাক্ষীকে (ওয়াজ়ে) প্রভাবিত করতে পারেন।’’
চলতি বছর মার্চে শিল্পপতি মুকেশ অম্বানীর বাড়ির সামনে বিস্ফোরক সমেত গাড়ি আটক হওয়া এবং তদন্ত চলাকালীন ব্যবসায়ী মনসুখ হিরনের রহস্যজনক মৃত্যুর মামলায় ওয়াজ়েকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। অম্বানীর বাড়ির সামনে বিস্ফোরক সমেত গাড়ি আটকের মামলায় পরমবীরকে বদলি করা হয়। তার পরেই তিনি অভিযোগ করেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দেশমুখ মুম্বইয়ের বার এবং রেস্তোরাঁ থেকে মাসে একশো কোটি টাকা তোলা আদায়ের জন্য চাপ দিতেন পুলিশকে। পরমবীরের এই অভিযোগ নিয়ে রাজনৈতির শোরগোল শুরু হওয়ার পরে পদত্যাগ করেন দেশমুখ। তোলাবাজির অভিযোগ এনে তাঁকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। মহারাষ্ট্র সরকারও পরমবীরের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে এক সদস্যের তদন্ত কমিশন গঠন করে। কিন্তু তার পর থেকেই উধাও হয়ে যান পরমবীর। তাঁর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা হওয়ার পরে তিনি ফের সামনে আসেন।
পরমবীর এ দিন দু’টি তোলাবাজির অভিযোগের মামলায় মহারাষ্ট্রের সিআইডি দফতরেও হাজিরা দেন। সেখানে তিনি নিজের বয়ানও রেকর্ড করেন।