—ফাইল চিত্র।
অসমের দুই রাষ্ট্রায়ত্ত কাগজ কল ফের চালুর দাবিতে অফিসার-কর্মীদের ধর্না চলছে। দাবি উঠেছে, ৩৫ মাসের বকেয়া বেতন দ্রুত মিটিয়ে দেওয়া হোক। নগাঁও পেপার মিল এবং কাছাড় পেপার মিলের সামনে কর্মীদের স্ত্রী-সন্তানেরাও আন্দোলনে সামিল হয়েছেন। ৩১ জানুয়ারির মধ্যে সমস্ত আবাস খালি করতে বলায় বিপাকে পড়েছেন তাঁরা। সকলে মিলে জানিয়ে দিয়েছেন, বকেয়া মেটানোর আগে কোনওমতেই ঘর ছাড়বেন না তাঁরা। এই পরিস্থিতিতে অসমের শিল্প-বাণিজ্যমন্ত্রী চন্দ্রমোহন পাটোয়ারি অবশ্য আজ সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, ‘‘কাগজকল কর্মীদের মোটেই ঘর ছাড়তে হবে না। আবাসনের বিদ্যুৎ ও জলের সরবরাহ রাজ্য সরকার করে। আমরা লাইন কাটব না। সমস্যা না-মেটা পর্যন্ত কাউকে ঘরছাড়া হতে হবে না। অর্থমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মাও জাগি রোডে বলেন, আগামী দু’-তিন দিনের মধ্যে কাগজকল কর্মীদের জন্য ভাল খবর ঘোষণা করা হবে।
সোমবার এনএলসিটি আদালতের নির্দেশক্রমে নিলামকারীর তরফে কাগজকল দু’টিতে নোটিস পাঠানো হয়েছিল, ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সব আবাস খালি করে দিতে হবে। আতঙ্ক ছড়ায় কর্মীদের মধ্যে। ৩৫ মাস বেতন বকেয়া থাকা কর্মীরা জানান, প্রাপ্য না পেলে আবাস ছাড়বেন না। আজ অসম সরকারের তরফে তাঁদের আশ্বস্ত করা হল।
পাটোয়ারি এ দিন বলেছেন, অসম চুক্তি রূপায়ণে রাজ্য সরকার সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। অর্থনৈতিক দিক থেকেও ভারতের চেয়ে রাজ্যের গড় ভাল। কিন্তু আগের সরকারের আমলে কোনও উন্নয়ন না হওয়ার ফলেই রাজ্য অনেক পিছিয়ে রয়েছে।
তিনি জানান অ্যাডভান্টেজ অসম থেকে রাজ্য প্রায় ৬৫ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ পাচ্ছে। নুমালিগড় শোধনাগারেও ২২ হাজার ৫০০ কোটি বিনিয়োগ হবে। ইন্দ্রধনুষ গ্যাস গ্রিড লিমিটেডে বিনিয়োগ হবে ৯ হাজার ২৬৫ কোটি টাকা।
এ ছাড়া, ব্রহ্মপুত্র ক্র্যাকার অ্যান্ড পলিমার লিমিটেড নিয়েও কেন্দ্র গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একে কোম্পানি বিষয়ক মন্ত্রক থেকে সরিয়ে পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রকের অধীনে আনা হয়েছে।