রড দিয়ে মেরে মূত্রপানে বাধ্য করা হয়েছিল, ৮ দিনের লড়াই শেষে মারা গেলেন দলিত যুবক জগমেল সিংহ

যন্ত্রণায় কাতর জগমেল জলের জন্য কাকুতি জানালেও জল দেওয়া হয়নি তাঁকে। বরং বাধ্য করা হয়েছে নিজের মূত্র পান করাতে। পরে তাঁকে পিজিআইএমইআর-এ ভর্তি করা হয়। তাঁর পা দু’টি বাদ দেন চিকিৎসকরা। ক্রমেই জগমেল সিংহ সাড়া দেওয়া বন্ধ করেন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

অমৃতসর শেষ আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০১৯ ১৭:৫৩
Share:

—প্রতীকী চিত্র

চার জন মিলে লোহার রড ও লাঠি দিয়ে বেধড়ক পিটিয়েছিল তাঁকে। বাধ্য করা হয়েছিল নিজেরই মূত্র পান করতেও। ৮ দিনের লড়াই অবশেষে থামল। মারা গেলেন পঞ্জাবের সংরুপুর এলাকার দলিত যুবক জগমেল সিংহ (৩৭)। শনিবার সকালে তাঁর মৃত্যু সংবাদ ঘোষণা করে পোস্ট গ্র্যাডুয়েট ইন্সটিটিউট অব মেডিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ (পিজিআইএমইআর)।

Advertisement

ঘটনার সূত্রপাত গত ৭ নভেম্বর। পুরনো শত্রুতার জেরে ওই দিন সংরুপুর এলাকার চঙ্গলিওলা গ্রামের ওই যুবককে বাড়ি থেকে বার করে আনে স্থানীয় দুই যুবক রিঙ্কু ও বিটা। তাদের সঙ্গে যোগ দেয় লাকি ও অমরজিৎ সিংহ নামে দু’জন। একটি থামে বেঁধে লাঠি এবং রড দিয়ে তাঁকে প্রচণ্ড মারধর করা হয়।

যন্ত্রণায় কাতর জগমেল জলের জন্য কাকুতি জানালেও জল দেওয়া হয়নি তাঁকে। বরং বাধ্য করা হয়েছে নিজের মূত্র পান করাতে। পরে তাঁকে পিজিআইএমইআর-এ ভর্তি করা হয়। তাঁর পা দু’টি বাদ দেন চিকিৎসকরা। ক্রমেই জগমেল সিংহ সাড়া দেওয়া বন্ধ করেন।

Advertisement

আরও পড়ুন:তিন দিনেই শেষ ইনদওর টেস্ট, ইনিংস ও ১৩০ রানে জিতল বিরাটের ভারত
আরও পড়ুন:শবরীমালা থেকে ১০ মহিলাকে ফেরত পাঠাল পুলিশ, আজ বিকালে খুলছে মন্দির​

জগমেলের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত চার যুবককেই গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ (হত্যা), ৩৬২ (অপহরণ) ও অন্য বেশ কয়েকটি ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। পঞ্জাবের তপসিলি জাতি ও জনজাতি কমিশনের তরফে সংরুপুর থানায় গোটা ঘটনার রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement