— প্রতীকী চিত্র।
ভুবনেশ্বর বিমানবন্দরে ছড়াল চিতাবাঘের আতঙ্ক। শনিবার সকালে এই আতঙ্ক ছড়াতেই পদক্ষেপ করেছে ওড়িশার বন দফতর। বনকর্মীদের একটি দল ওড়িশার বিজু পট্টনায়ক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে চিতাবাঘের খোঁজে অভিযান শুরু করেছে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানাচ্ছে, এক মহিলাই প্রথম দাবি করেন তিনি বিমানবন্দরের ভিতরে একটি জায়গায় চিতাবাঘ দেখেছেন। মহিলা বিমানবন্দরেরই কর্মী। চিতাবাঘের ভয় ছড়িয়ে পড়তে বেশি দেরি হয়নি। পর ক্ষণেই বিমানবন্দরে থাকা যাত্রী এবং অন্য কর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায়। খবর দেওয়া হয় স্থানীয় থানায়। বন দফতরকেও জানানো হয়।
বিমানবন্দরে চিতাবাঘ দেখা যাওয়ার খবর পেয়ে দ্রুত সেখানে পৌঁছে যান বন দফতরের কর্মীরা। পুলিশের একটি দলকে সঙ্গে নিয়ে অভিযান শুরু করেন তাঁরা। চিতাবাঘ ধরার জন্য জাল এবং অন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রও নিয়ে আসেন তাঁরা। কিন্তু অনেক ক্ষণ ধরে খোঁজাখুঁজির পরও বিমানবন্দরে তাঁরা কোনও চিতাবাঘের দেখা পাননি।
শনিবার সকালের এই ঘটনায় পাঁচ বছরের পুরনো আতঙ্ক আবারও ফিরল বিজু পট্টনায়ক বিমানবন্দরে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ভুবনেশ্বর বিমানবন্দরে এর আগেও চিতাবাঘের দেখা মিলেছিল। সেটি ২০১৯ সালের ঘটনা। সিসিটিভি ফুটেজে বিমানবন্দরের দেওয়াল বেয়ে একটি চিতাবাঘকে ভিতরে প্রবেশ করতে দেখা গিয়েছিল। দীর্ঘ ক্ষণ ধরে অভিযানের পর বিমানবন্দরের ভিতর থেকেই উদ্ধার করা হয়েছিল চিতাবাঘটিকে। পরে সেটিকে লোকালয় থেকে দূরে চন্দকা জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল।
তবে শনিবার সকালের ঘটনায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত চিতাবাঘের কোনও চিহ্ন পাননি বন আধিকারিকেরা। বনকর্মীরা বিমানবন্দর চত্বরে অভিযান চালালেও চিতাবাঘের কোনও পায়ের ছাপ মেলেনি। অন্য পশুর কয়েকটি পায়ের ছাপ পাওয়া গিয়েছে। তবে কোন পশুর পায়ে ছাপ, সেটি এখনও স্পষ্ট নয়। বৃষ্টির কারণে পায়ের ছাপগুলি ভাল ভাবে বোঝা যাচ্ছে না। প্রাথমিক ভাবে বনকর্মীদের অনুমান, সেগুলি শিয়ালের পায়ের ছাপ হতে পারে।