নয়াদিল্লির আকবর রোডে নবনির্মিত গুজরাত ভবন। —নিজস্ব চিত্র।
এত দিন যা পর্দার আড়ালে ছিল, ভোট শেষ হতেই সেটা উঠে গেল। বেরিয়ে এল এক পেল্লায় প্রাসাদ। কংগ্রেসের সদর দফতরের ঠিক উল্টো দিকে। দিল্লির আকবর রোডে তৈরি নতুন গুজরাত ভবন।
বছর কয়েক আগেও দিল্লির অশোক রোডের পরিচিতি ছিল বিজেপির সদর দফতরের জন্য, আর আকবর রোড কংগ্রেসের। বিজেপির দফতর অবশ্য এখন লাটিয়েন্স দিল্লির বাইরে দীনদয়াল উপাধ্যায় মার্গে চলে গিয়েছে। যদিও অশোক রোডের বাংলোটি এখনও হস্তান্তর হয়নি। কংগ্রেসের নতুন দফতরের কাজও চলছে অনেক দিন ধরে। কিন্তু আকবর রোডে শুধু এআইসিসি দফতরই নেই, তার ঠিক পাশেই সনিয়া গাঁধীর বাড়ি। ঠিকানা ১০ জনপথ হলেও সে বাড়িতে প্রবেশের পথ আকবর রোড দিয়েই। এ বারে সে পথেও থাবা বসানো শুরু করল গুজরাত ভবন।
এত দিন সেটি বিশাল পর্দা দিয়ে ঢাকা ছিল। জনসাধারণ বাইরে থেকে দেখতে পায়নি। ভিতরে প্রবেশেরও অনুমতি ছিল না। কিন্তু ভোটে নরেন্দ্র মোদী আরও বিপুল জনমত নিয়ে জিতে আসার পরেই সেই পর্দা সরিয়ে দেওয়া হল। কংগ্রেস দফতরের ঠিক উল্টো দিকে গুজরাত ভবন তৈরির অনুমতি দেওয়ার সময়ই কংগ্রেস রাজনীতির গন্ধ পেয়েছিল। এ বারে ভোট শেষে প্রাসাদের মতো সে ভবন জনসমক্ষে মেলে ধরাকে ‘ক্ষমতার আস্ফালন’ আর ‘শক্তি প্রদর্শনের বার্তা’ হিসেবেই দেখছে কংগ্রেস। আর বিজেপির বক্তব্য, ২০১৭ সালের নভেম্বর থেকে এই ভবনের কাজ শুরু হয়েছে। এমনিতেই ১৮ মাসে কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল।
প্রায় ৭ হাজার বর্গমিটার এলাকা জুড়ে এই ভবন বানাতে খরচ হয়েছে প্রায় ১৩০ কোটি টাকা। ধোলপুর আর আগরা থেকে বিশেষ পাথর আনা হয়েছে। ৭০টির মতো ঘর, সম্মেলন কক্ষ, লাউঞ্জের ব্যবস্থা থাকছে। কিন্তু কংগ্রেসের নেতাদের প্রশ্ন, লাটিয়েন্স দিল্লিতে সিংহভাগ বাংলোই এক তলার। হাতে গুনে কয়েকটি বড়জোর দোতলা ভবন রয়েছে। এর থেকে উঁচু কোনও ভবন তৈরির অনুমতি দেওয়া হয় না। কিন্তু গুজরাতের নতুন ভবনটি সাত তলার। বেনজির ঘটনা। কী করে তার অনুমোদন মিলল?