ভগতের ফাঁসির বিচার ৮৮ বছর পর!

৮৮ বছর পর সেই অভিযোগের সত্যতা প্রমাণের চেষ্টা শুরু করেছেন লাহৌরের আইনজীবী ইমতিয়াজ রসিদ কুরেশি। ভগত সিংহ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান তিনি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

চণ্ডীগড় শেষ আপডেট: ১৩ জুন ২০১৯ ০৪:৩০
Share:

—ফাইল চিত্র।

ব্রিটিশ পুলিশ অফিসার জন সন্ডার্সকে হত্যার দায়ে ভগত সিংহ, শিবরাম রাজগুরু ও সুখদেবের ফাঁসি হয়েছিল ১৯৩১ সালের ২৩ মার্চ। তাঁদের বিচারের নামে প্রহসন হয়েছিল— এই অভিযোগ রয়েছে সেই সময় থেকেই।

Advertisement

৮৮ বছর পর সেই অভিযোগের সত্যতা প্রমাণের চেষ্টা শুরু করেছেন লাহৌরের আইনজীবী ইমতিয়াজ রসিদ কুরেশি। ভগত সিংহ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান তিনি। লাহৌর হাইকোর্টে নতুন করে মামলাটি চালু করার আর্জি জানিয়েছিলেন তিনি। তারই সূত্রে হাইকোর্টের নির্দেশে পুলিশ আনারকলি থানার পুরনো নথি ঘেঁটে ১৯২৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর লেখা উর্দু এফআইআরটি খুঁজে পায়। পুলিশ গত সপ্তাহে সেই এফআইআরের কপি আদালতে পেশ করেছে। তাতে ভগতদের কারও নাম নেই। দু’জন অজ্ঞাতপরিচয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল।

সাধারণ আদালতের বদলে ভগতদের বিচার হয়েছিল বিশেষ ট্রাইবুনালে। যাতে তার রায়ের বিরুদ্ধে লন্ডনের প্রিভি-কাউন্সিল ছাড়া আর কোথাও আবেদনই না-করা যায়। ৪৫০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য না-শুনেই ফাঁসির হুকুম দিয়েছিল ওই ট্রাইবুনাল। নির্দেশ অনুয়ায়ী ফাঁসি হওয়ার কথা ছিল ২৪ মার্চ। কোনও ম্যাজিস্ট্রেট তাতে থাকতে রাজি না-হওয়ায়, ফাঁসির পরোয়ানা যিনি লিখেছিলেন, সেই সাম্মানিক বিচারকই হাজির থেকে এক দিন আগে ফাঁসি কার্যকর করান। রাতে জেলের দেওয়ালে গর্ত খুঁড়ে দেহগুলি বার করে নিয়ে গন্দা সিং ওয়ালা গ্রামে দাহ করা হয়। চিতাভস্ম ফেলা হয় ১০ কিলোমিটার দূরে ফিরোজপুরে শতদ্রু নদীতে।

Advertisement

বিচার থেকে ফাঁসি— গোটা পর্বটাই বহু প্রশ্ন ও অভিযোগে মোড়া। ৮৮ বছর পরে পাক আইনজীবী ইমতিয়াজ রসিদ আসল সত্য সামনে আনতে চান। তিনি এ কাজে সফল হলে ব্রিটিশ সরকারকে এমন ‘জঘন্য’ বিচারের জন্য ক্ষমা চাইতে হবে বলে পাক সংবাদমাধ্যমগুলির ধারণা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement