এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। — প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
বেঙ্গালুরুতে ১৬ বছর বয়সি এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে তারই ব্যাডমিন্টন প্রশিক্ষককে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃত যুবকের বয়স ৩০। তিনি স্থানীয় এক ক্রীড়া প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে কর্মরত। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি কিশোরীর ফোন থেকে পাঠানো একটি অশ্লীল ছবি দেখে ফেলেন তার ঠাকুরমা। সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি তার বাবা-মাকে জানান। বাবা-মা মেয়েকে প্রশ্ন করতেই সব কথা স্বীকার করে ওই কিশোরী। এর পরেই থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে কিশোরীর পরিবার।
পুলিশ জানিয়েছে, ৩০ বছর বয়সি ওই যুবক বেঙ্গালুরুতে একাই থাকতেন। সেই সুযোগেই তিনি বেশ কয়েক বার ছাত্রীটিকে বিশেষ প্রশিক্ষণের নাম করে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে যৌন হেনস্থা করেন বলে অভিযোগ। নির্যাতিতাকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়, কাউকে এ বিষয়ে কিছু না বলতে। সে কারণেই ভয়ে কাউকে কিছু জানায়নি ওই কিশোরী। সম্প্রতি দশম শ্রেণির পরীক্ষা শেষ হতেই ছুটি কাটাতে ঠাকুরমার বাড়ি গিয়েছিল সে। তখনই ঠাকুরমা তার ফোনে পাঠানো একটি অশ্লীল ছবি দেখে ফেলেন। কিশোরীর বাবা-মাকেও বিষয়টি জানান তিনি। তখনই প্রকাশ্যে আসে আসল ঘটনা। নাবালিকা জানিয়েছে, অতিরিক্ত প্রশিক্ষণের নাম করে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন ওই যুবক। একাধিক বার তাকে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে যৌন নির্যাতনও করেছিলেন বলে অভিযোগ। কিশোরীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশের দাবি, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কৃতকর্মের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন অভিযুক্ত। ধৃতের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। নির্যাতিতার বয়সের কথা বিবেচনা করে যৌন অপরাধ থেকে শিশুদের সুরক্ষা (পকসো) আইনেও মামলা রুজু করার পথে হাঁটবে পুলিশ। যে ক্রীড়া প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ওই ছাত্রী প্রশিক্ষণ নিত, সেখানকার কর্তৃপক্ষের তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি। তবে এই ঘটনার পরেই সরব হয়েছেন অন্যান্য ছাত্রীর বাবা-মায়েরাও। সন্তানের নিরাপত্তার প্রশ্নে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ এনেছেন তাঁরা। প্রসঙ্গত, ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো (এনসিআরবি)-র তথ্য অনুযায়ী, নাবালক-নাবালিকাদের বিরুদ্ধে অপরাধ ভারতে একটি স্থায়ী সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। শুধুমাত্র ২০২২ সালেই পকসো আইনের অধীনে ৪৭,০০০ এরও বেশি মামলা নথিভুক্ত হয়েছিল।