Pakistan

শর্তহীন নয় শান্তি-প্রস্তাব, জানাল পাকিস্তান

আবু ধাবির একটি সংবাদমাধ্যমকে গত কাল দেওয়া সাক্ষাৎকারে শাহবাজ় জানিয়েছিলেন, নয়াদিল্লির সঙ্গে আলোচনায় বসতে তিনি আগ্রহী। ভারতের সঙ্গে তিনটি যুদ্ধের পরে পাকিস্তানের যথেষ্ট শিক্ষা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০২৩ ০৭:১১
Share:

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ় শরিফ। ছবি: রয়টার্স।

ঢোঁক গিললেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ় শরিফ। কূটনৈতিক শিবিরের মতে, ঢোঁক গিলতে বাধ্য হয়েছেন তিনি। কারণ, দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি এবং গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের চাপ। পাক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে আজ বেশ কয়েকটি টুইট করে যা বলা হয়েছে, তার মর্মার্থ, ইসলামাবাদ তাদের কাশ্মীর নীতি থেকে সরে আসেনি।

Advertisement

আবু ধাবির একটি সংবাদমাধ্যমকে গত কাল দেওয়া সাক্ষাৎকারে শাহবাজ় জানিয়েছিলেন, নয়াদিল্লির সঙ্গে আলোচনায় বসতে তিনি আগ্রহী। ভারতের সঙ্গে তিনটি যুদ্ধের পরে পাকিস্তানের যথেষ্ট শিক্ষা হয়েছে। এর পরেই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় শাহবাজ়ের বক্তব্যের নতুন ব্যাখ্যা দিয়েছে। বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর এই প্রস্তাব শর্তহীন নয়। ভারত যদি কাশ্মীর থেকে ৩৭০ অনুচ্ছেদ অবলুপ্তির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে, তা হলেই আলোচনায় বসা সম্ভব। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে একাধিক টুইট করে বলা হয়েছে, পাকিস্তান চিরকালই শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে কাশ্মীর সমস্যার সমাধান চেয়েছে। পাক প্রধানমন্ত্রী এটাও স্পষ্ট করে দিতে চেয়েছেন যে ভারতে ২০১৯ সালের ৫ অগস্ট ৩৭০ অনুচ্ছেদ অবলুপ্তি বেআইনি পদক্ষেপ। কাশ্মীর সমস্যার সমাধান করতে হবে রাষ্ট্রপুঞ্জ এবং সেখানকার মানুষের আকাঙ্ক্ষার উপর ভিত্তি করে।

ভারতের বিদেশ মন্ত্রক গত কাল ঘরোয়া ভাবে জানিয়েছিল, তারা পাক প্রধানমন্ত্রীর শান্তি প্রস্তাবকে আদৌ গুরুত্ব দিয়ে দেখছে না। প্রথমত, আলোচনায় বসার কোনও প্রস্তাব সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়ে জানানোর বিষয় নয়। দ্বিতীয়ত, সন্ত্রাস সম্পূর্ণ বন্ধ না করে আলোচনা শুরু করা অর্থহীন। তৃতীয়ত, পাকিস্তান আসলে কী চাইছে সেটা স্পষ্ট নয়। তাদের কথার কোনও স্থিরতা নেই। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরবর্তী ব্যাখ্যার পরেও আজ মুখ খোলেনি সাউথ ব্লক। শুধু জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুখ আবদুল্লা জানিয়েছেন, তিনি চান ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে আলোচনা শুরু হোক। তাঁর আশা, নয়াদিল্লি যখন জি২০ গোষ্ঠীর সভাপতিত্ব করছে, তখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কাশ্মীর সমস্যার সমাধানে পাকিস্তানের সঙ্গে সেতু গড়তে সচেষ্ট হবেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement