Ahmedabad Bomb Threat

আমদাবাদের স্কুলগুলিতে বোমাতঙ্ক ছড়ানো মেলের সঙ্গে পাক-যোগ! তদন্তে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য

ত ৬ মে ‘বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়া’র হুমকি দিয়ে আমদাবাদের অন্তত ১৪টি স্কুলে মেল পাঠানো হয়। সেই তালিকায় রয়েছে দিল্লি পাবলিক স্কুল, আনন্দ নিকেতনের মতো নামী স্কুলগুলি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ মে ২০২৪ ১৭:১৩
Share:

প্রতীকী ছবি।

আমদাবাদের স্কুলে বোমাতঙ্ক ছড়ানোর ঘটনায় পাকিস্তান যোগ! প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছিল, রাশিয়ান এক ডোমেন থেকে মেলগুলি আমদাবাদের স্কুলগুলিতে পাঠানো হয়েছিল। তদন্তের অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গেই এই মেলের নেপথ্যে পাকিস্তান যোগের ইঙ্গিত পান তদন্তকারী অফিসারেরা।

Advertisement

আমদাবাদের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার শরদ সিঙ্ঘল বলেন, ‘‘প্রথমে মনে হয়েছিল মেলগুলি রাশিয়া থেকে পাঠানো হয়েছে। তবে তদন্তে জানা গিয়েছে এই মেলের নেপথ্যে তোহিক লিয়াকত নামে এক যুবক রয়েছেন। তিনি পাকিস্তানের সামরিক ক্যান্টনমেন্টে আহমেদ জাভেদ নামে কাজ করেন।’’ তোহিক বিভিন্ন ‘অনৈতিক’ কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন বলেও তদন্তে উঠে আসছে বলেই খবর।

গত ৬ মে ‘বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়া’র হুমকি দিয়ে আমদাবাদের অন্তত ১৪টি স্কুলে মেল পাঠানো হয়। সেই তালিকায় রয়েছে দিল্লি পাবলিক স্কুল, আনন্দ নিকেতনের মতো নামী স্কুলগুলি। মেল পাওয়ার পরেই পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। হুমকি পাওয়া স্কুলগুলিতে পৌঁছয় পুলিশবাহিনী। বম্ব স্কোয়াডও যায় ঘটনাস্থলে। স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে অভিভাবকদেরও খবর দিয়ে পড়ুয়াদের বাড়ি ফেরত পাঠানোর কথা জানানো হয়েছিল। তবে অনুসন্ধান চালিয়েও সন্দেহজনক কিছু পায়নি পুলিশ।

Advertisement

৭ মে আমদাবাদে ছিল লোকসভা নির্বাচন। যে সব স্কুলে বোমাতঙ্ক ইমেল পাঠানো হয়েছিল, তাদের মধ্যে কয়েকটিতে ভোটকেন্দ্রও ছিল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মঙ্গলবার ওই শহরেই ভোট দিয়েছিলেন। ফলে বোমাতঙ্ক ছড়ানো মেলগুলি ঘিরে বাড়তি সতর্কতা নেয় পুলিশ। আমদাবাদের ভোটকেন্দ্রগুলিতে নিরাপত্তাও বৃদ্ধি করা হয়েছিল।

উল্লেখ্য, গত ১ এপ্রিল দিল্লি, এনসিআর এবং উত্তরপ্রদেশের নয়ডা, গাজ়িয়াবাদে দুশোর বেশি স্কুলে হুমকি মেল পাঠানো হয়। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে স্কুলগুলিতে। তড়িঘড়ি স্কুলগুলি খালি করানো হয়। এই হুমকি মেলগুলির সব ক’টির বয়ানই এক বলে পুলিশ সূত্রে খবর। হুমকি মেল প্রেরকের ঠিকানাও খুঁজে বার করেছে পুলিশ। যদিও এই হুমকির পরেও কোনও সন্দেহজনক কিছু মেলেনি বলেও দাবি পুলিশের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement