গ্রেফতার অভিযুক্ত। ছবি সংগৃহীত।
ধারে বিড়ি চেয়েছিলেন, কিন্তু তা দিতে অস্বীকার করায় বৃদ্ধাকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল। উত্তরপ্রদেশের কানপুরে ঘটনাটি ঘটেছে। ঘটনার মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, কানপুরের ফিরোজপুর গ্রামে ছেলে জয়বীর সিংহ এবং নাতনিকে নিয়ে থাকতেন রামকালী দেবী। তাঁদের একটি মুদির দোকান ছিল। গত ৪ মে মেয়েকে নিট দিতে নিয়ে গিয়েছিলেন জয়বীর। দোকানে একা ছিলেন রামকালী। পুলিশ সূত্রে খবর, রাতে বাড়ি ফিরে জয়বীর দেখেন মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন তাঁর মা। বৃদ্ধার মাথায়, গলায়, বুকে এবং পিঠে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
মাকে ওই অবস্থায় দেখে জয়বীর খবর দেন পুলিশকে। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠায়। মায়ের মৃত্যুর জন্য বিনয় কাটিয়া নামে এক গ্রামবাসীকে দায়ী করেন জয়বীর। থানায় তাঁর নামে অভিযোগও দায়ের করেন তিনি। শুধু বিনয় নন, সিপু নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধেও খুনের অভিযোগ করেন জয়বীর।
পরে পুলিশ তদন্তে নেমে অভিযুক্তদের খোঁজ শুরু করে। দিন দুয়েক পর মূল অভিযুক্ত বিনয়কে গ্রেফতার করে পুলিশ। একই সঙ্গে একটি লাঠিও উদ্ধার করেছে তারা। পুলিশের অনুমান, ওই লাঠি দিয়েই পিটিয়ে বৃদ্ধাকে খুন করা হয়েছে।
পুলিশি জেরার মুখে খুনের কথা স্বীকার করে নেন ধৃত বিনয়। তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন, রামকালীর দোকান থেকে তাঁরা ধারে জিনিসপত্র নিয়ে থাকেন। এক হাজার টাকা বাকি হয়ে যায় তাঁর। ৪ মে দোকানে গিয়ে বিড়ির প্যাকেট চাওয়ায় রামকালী তা দিতে অস্বীকার করেন। বিনয়কে তিনি বলেন, ধারের টাকা শোধ না করলে আর কোনও জিনিস দেবেন না। যা শুনে রেগে যান বিনয়। হাতের লাঠি দিয়ে বৃদ্ধাকে মারতে শুরু করেন বিনয়। ঘটনার সময় তাঁর সঙ্গে আরও এক গ্রামবাসী ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধেও খুনের অভিযোগ উঠেছে। রক্তাক্ত অবস্থায় বৃদ্ধাকে ফেলে রেখে পালিয়ে যান বিনয়েরা। বাড়ি ফিরে এসে জয়বীর ওই অবস্থায় মাকে দেখে চিৎকার করে প্রতিবেশীদের ডাকেন। পুলিশ অন্য অভিযুক্তের খোঁজ চালাচ্ছে।