উদ্ধার হওয়া অস্ত্র।—নিজস্ব চিত্র।
জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গিদের হাতে অস্ত্র পৌঁছে দিতে ড্রোন ব্যবহার করছে পাকিস্তান। মঙ্গলবার এমনই দাবি করল জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার রাতে নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে আখনুরের একটি গ্রামে ২টো অ্যাসল্ট রাইফেল, একটা পিস্তল, অ্যাসল্ট রাইফেলের তিনটে ম্যাগাজিন এবং ৯০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়েছে। রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে আখনুরের জাদ সোহাল গ্রামে তল্লাশি অভিযান চালায় পুলিশ। তখনই গ্রামের অদূরেই ওই অস্ত্র এবং গুলি পড়ে থাকতে দেখেন পুলিশ আধিকারিকরা। পুলিশ এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ড্রোনে করে এই অস্ত্রগুলো ফেলা হয়েছে।
পুলিশের এক শীর্ষ আধিকারিকের দাবি, জঙ্গিদের হাতে অস্ত্র পৌঁছে দেওয়ার উদ্দশ্যেই এই নতুন পন্থা নিচ্ছে পাকিস্তান। এই ঘটনার পিছনে জইশ জঙ্গিগোষ্ঠীর হাত রয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: কৃষিতে এ বার ছাপোষা ফড়েদের জায়গা নেবেন রাঘববোয়ালরা!
এই জইশ জঙ্গিগোষ্ঠীই ২০১৯-এর ১৪ ফেব্রুয়ারি জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামায় জওয়ানদের কনভয়ে হামলা চালিয়েছিল। যে ঘটনায় নিহত হয়েছিলেন ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ান। এই জঙ্গিগোষ্ঠী ফের বড়সড় কোনও হামলার ছক কষছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে ওই পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন।
এই প্রথম নয়, এর আগে গত বছরের অক্টোবরে পঞ্জাবে ভারত-পাক সীমান্তে ড্রোন উড়তে দেখে বিএসএফ। পরে পঞ্জাব পুলিশ জানায়, ড্রোন থেকে একে ৪৭, গ্রেনেড এবং স্যাটেলাইট ফোন ফেলা হয়। জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গিদের হাতে ওই অস্ত্র পৌঁছে দিতেই ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে বলে দাবি করেছিল পঞ্জাব পুলিশ।
আরও পড়ুন: কোভিড পরিস্থিতি পর্যালোচনায় কাল সাত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক প্রধানমন্ত্রীর