প্রতীকী ছবি।
নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করে গুলি চালাচ্ছে পাক সেনা। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেছেন, “কোনও রকম প্ররোচনা ছাড়াই পাকিস্তান সমানে সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করে চলেছে। সাধারণ মানুষের বসতি রয়েছে, এমন এলাকা থেকেই বেশির ভাগ সময়ে গুলি ছোড়া হচ্ছে, যাতে অনুপ্রবেশ ঘটানো যায়। ২০০৩ সালে দু’দেশের মধ্যে সংঘর্ষবিরতি নিয়ে যে বোঝাপড়া হয়েছিল, তা থেকে পুরোপুরি সরে এসেছে পাকিস্তান।’’
বিদেশ মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই বছর আজ পর্যন্ত মোট ৩৮০০টি সংঘর্ষবিরতির ঘটনা ঘটিয়েছে পাকিস্তান। সীমান্তের কাছে বারবার আকাশ থেকে অস্ত্রশস্ত্র ফেলার চেষ্টাও তারা করে গিয়েছে। অনুরাগের মতে, “সীমান্তে ড্রোন এবং হেলিকপ্টারের সাহায্যে অস্ত্র ও মাদক পাচার, আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাস পাচারের সাক্ষী ভারত। বিষয়টি কূটনৈতিক চ্যানেল এবং সীমান্তরক্ষী বাহিনীর পর্যায়ে নিয়মিত ভাবে পাকিস্তানকে জানানো হয়।’’
সন্ত্রাসবাদে আর্থিক মদত সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক নজরদারি সংস্থা এফএটিএফ-এর তিন দিনের ভিডিয়ো সম্মেলন কাল শেষ হচ্ছে। পাকিস্তানের ধূসর তালিকাতেই থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেই মনে করছে কূটনৈতিক সূত্র। আজ বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র বলেন, “২৭টি বিষয়ে পদক্ষেপ করতে ইসলামাবাদকে নির্দেশ দিয়েছিল এফএটিএফ। তার মধ্যে এখনও ছ’টিতে হাতই দেয়নি তারা। এ কথা সবাই জানে যে, পাকিস্তান নিজেদের মাটিতে সন্ত্রাসবাদীদের স্বর্গোদ্যান বানিয়ে রেখেছে। রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের তালিকায় থাকা জঙ্গিদের বিরুদ্ধেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। এই জঙ্গিদের তালিকায় রয়েছে মাসুদ আজহার, দাউদ ইব্রাহিম, জাকি-উর-রহমান লকভির মতো লোকেরা।’’