মেহমুদ আখতার। —ফাইল চিত্র।
নয়াদিল্লির হাইকমিশন থেকে নিজেদের চার কর্মীকে দেশে ফেরাতে পারে পাকিস্তান। পাক বিদেশ দফতর সূত্রে এমনই ইঙ্গিত মিলেছে। যদিও দফতরের এক আধিকারিকের দাবি, “এ বিষয়ে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। বরং গোটাটাই এখনও আলোচনার স্তরে রয়েছে। শীঘ্রই এ নিয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।” চরবৃত্তির দায়ে বহিষ্কৃ়ত পাক হাইকমিশনের কর্মী মেহমুদ আখতারের পর্দাফাঁসের পর তড়িঘড়ি এই ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে পাকিস্তান।
আরও পড়ুন
কেউ ভোলে টাকায়, কেউ নারীসঙ্গে, টোপের ডালি সাজাতেন পাক চর
গত ২৩ অক্টোবর দিল্লি চিড়িয়াখানায় ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচারের সময় পাক হাইকমিশনের আধিকারিক মেহমুদ আখতার-সহ তিন জন আইএসআই চরকে হাতেনাতে ধরে পুলিশ। নয়াদিল্লিতে একটি চর-চক্র চালানোর অভিযোগও ওঠে এই পাক দূতাবাস কর্মীর বিরুদ্ধে। মেহমুদকে জেরার পর আটচল্লিশ ঘণ্টার মধ্যে নিজের দেশে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেয় ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক। জেরায় নিজের চার সহকর্মী সৈয়দ ফারুক, খাদিম হুসেন, শাহিদ ইকবাল ও ইকবাল চিমার নাম জানিয়ে দেয় মেহমুদ। ওই চার জনকেই দেশে ফেরানোর কথা ভাবছে পাকিস্তান। যদিও দেশে ফিরে মিডিয়ায় মেহমুদের দাবি, চাপের মুখে ওই চার জনের নাম বলেছে সে।
নয়াদিল্লিতে পাক হাইকমিশন।
একটি পাক সংবাদপত্রে মেহমুদের দাবি, “গ্রেফতার করার পর আমাকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে একটি লিখিত বয়ান পড়তে বলা হয়েছিল। তাতে ওই চার জনের নাম লেখা ছিল। আমাকে বিবৃতি দিতে বলা হয়, ওই চার জন পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থার হয়ে কাজ করছে।” শুধু তা-ই নয়, লিখিত বিবৃতি পড়তে দিল্লি থানার পুলিশকর্মীরা তার উপর অত্যাচার চালায় বলেও দাবি মেহমুদের।
ছবি: সংগৃহীত।