পাকিস্তান সেনা সীমান্তে মোতায়েন করল আমেরিকার তৈরি রাডার। ছবি: সংগৃহীত।
ভারত সীমান্তের মাত্র ৫৮ কিলোমিটার দূরে অত্যাধুনিক নজরদারি রাডার মোতায়েন করেছে পাক সেনা। সে দেশের সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন জানাচ্ছে, সিন্ধ প্রদেশের উমেরকোট জেলার চোর সেনানিবাসে বসানো হয়েছে টিপিএস-৭৭ নামের ওই ‘মাল্টি রোল রাডার’। এই ঘটনার জেরে ভারতের নিরাপত্তা চাপের মুখে পড়তে পারে বলে মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
ভারতের ‘হিমশক্তি ইন্টিগ্রেটেড ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার সিস্টেম’-এর মোকাবিলার উদ্দেশ্যেই আমেরিকায় লকহিড মার্টিন সংস্থার তৈরি টিপিএস-৭৭-এর পরিবহণযোগ্য এমআরআর সংস্করণটি পাক সেনা সীমান্তে মোতায়েন করেছে বলে মনে করা হচ্ছে। বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী বৈদ্যুতিন অস্ত্র (ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার সিস্টেম) হিমশক্তি নিজের ইলেকট্রোম্যগনেটিক স্পেকট্রামের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে ওয়ারলেস কমিউনিকেশান, স্যটেলাইট লিংক এবং রাডারকে জ্যাম করতে সক্ষম।
পাশাপাশি ভারতীয় বাহিনীর এই বৈদ্যুতিন অস্ত্র, শত্রুপক্ষের ‘প্যাসিভ ট্র্যাকিং’ করতে সক্ষম। অর্থাৎ শত্রুপক্ষের রেডিও তরঙ্গকে শনাক্ত করে তাকে চিহ্নিত করতে পারে শত্রুর অজান্তেই। যেহুতু এটি অ্যাক্টিভ ট্র্যকিং এর মত রেডিও তরঙ্গ নিঃসরণ (ওয়েভ এমিশান) করে না তাই শত্রুর রাডার ওয়েভ রিসিভার বুঝতে পারে না তার উপর নজরদারি চলছে। কিন্তু টিপিএস-৭৭ এমআরআর এস-ব্যান্ড তরঙ্গের সাহায্যে আড়াইশো কিলোমিটার এলাকা পর্যন্ত শত্রুর নজরদারি ব্যবস্থা চিহ্নিত করতে পারে। শনাক্ত করতে পারে শত্রুর বিমান, হেলিকপ্টার এবং ড্রোন।
সাধারণ ভাবে ৪৭০ কিলোমিটার পর্যন্ত শত্রুর সামরিক তৎপরতার পূর্বাভাস দিতে পারে আমেরিকা থেকে আমদানি করা ওই রাডার। ২০২১ সালে আমেরিকা থেকে দু’টি টিপিএস-৭৭ এমআরআর আমদানি করেছিল পাক সেনা। এ বার তারই একটিকে ভারতের মোকাবিলায় মোতায়েন করল ইসলামাবাদ।