কটকের একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ৭১ বছরের কমলা।
অসুস্থ হয়ে কটকের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন পদ্মশ্রীপ্রাপ্ত কমলা পূজারি। হাসপাতালের আইসিইউতে অসুস্থ অবস্থাতেই তাঁকে জোর করে নাচানোর অভিযোগ উঠল এক সমাজকর্মীর বিরুদ্ধে। কমলা নিজে জনজাতি সমাজের। তাঁর সঙ্গে এ হেন আচরণে রীতিমতো ক্ষুব্ধ জনজাতি সমাজ।
সম্প্রতি কিডনির সমস্যা নিয়ে কটকের একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ৭১ বছরের কমলা। তিনি ওড়িশার পারাজা জনজাতি সমাজের। হাসপাতালের আইসিইউতে তিনি নাচছেন, এমন একটি ভিডিয়ো সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে। যদিও তাঁর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। ওই ভিডিয়োতে কমলার সঙ্গে নাচতে দেখা গিয়েছে সমাজকর্মী মমতা বেহেরাকেও।
সোমবার হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন কমলা। কোরাপুট জেলায় নিজের বাড়িতে ফিরে তিনি বলেন, ‘‘আমি নাচতে চাইনি। জোর করে নাচানো হয়েছে। বার বার বারণ করেছি। ওই সমাজকর্মী শোনেননি। আমি খুব অসুস্থ এবং ক্লান্ত ছিলাম।’’ যদিও মমতার দাবি, কোনও খারাপ উদ্দেশ্যে এ সব করেননি তিনি। কমলার আলস্য কাটাতেই তাঁকে নাচতে বলেছিলেন।
পারাজা সমাজের একটি সংগঠন রয়েছে। তার প্রধান হরিশ মুদুলি জানিয়েছেন, কমলা আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন। তাঁকে অসুস্থ অবস্থায় সেখানে নাচ করানো হয়েছে। ওই সমাজকর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া হলে তাঁরা পথে নেমে প্রতিবাদ করবেন।
জৈবচাষের প্রচারের জন্য ২০১৯ সালে পদ্মশ্রী পেয়েছিলেন কমলা। ১০০ ধরনের দেশি বীজ তৈরি করেছিলেন তিনি। কিডনির চিকিৎসার জন্য কটকের এসসিবি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন। ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েকও তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছিলেন।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যদিও জানিয়েছেন, আইসিইউতে নয়, বিশেষ কেবিনে ভর্তি ছিলেন কমলা। সেখানে তাঁকে রোজ দেখতে আসতেন ওই সমাজকর্মী। এমনটাই জানিয়েছেন হাসপাতালের রেজিস্ট্রার অবিনাশ রাউত।