গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
রাজনীতির ময়দানে ‘আবির্ভাব’ থেকে দেড় দশকের পুরনো সেই কলাবতী-বক্তৃতার প্রসঙ্গ। বুধবার লোকসভায় অনাস্থা বিতর্কে নাম না-করে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে বার বার বিঁধলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আর তা করতে গিয়ে গুলিয়ে ফেললেন মহারাষ্ট্রের বিদর্ভ আর উত্তরপ্রদেশের বুন্দেলখণ্ড।
সুপ্রিম কোর্ট সাজায় স্থগিতাদেশ দেওয়ায় প্রায় সাড়ে চার মাস বাদে সোমবার লোকসভার সাংসদপদ ফিরে পেয়েছেন তিনি। এই আবহে বুধবার নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে ‘ইন্ডিয়া’র আনা অনাস্থা বিতর্কে রাহুল গান্ধীর ‘প্রত্যাবর্তন বক্তৃতা’ ঘিরে কৌতূহল ছিল সরকার ও বিরোধীপক্ষে। বক্তৃতায় সময় রাহুলকে বার বার বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন ট্রেজারি বেঞ্চের সাংসদরা। এমনকি, রাহুলের পর অনাস্থা বিতর্কে বক্তৃতা করতে গিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি সরাসরি ‘ফ্লাইং কিস’ প্রসঙ্গ তুলে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেন ওয়েনাড়ের কংগ্রেস সাংসদকে।
শাহ অবশ্য নাম না করেই রাহুলকে কটাক্ষ করেছেন বুধবার। ‘‘এই লোকসভায় এমন সাংসদও আছেন ১৩ বার রাজনৈতিক ভাবে যাঁর অভিষেকের চেষ্টা করা হয়েছে, কিন্তু প্রতি বারই তিনি ফেল করেছেন।’’ রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের ধারণা, মোদী পদবি অবমাননার মামলায় সুপ্রিম কোর্ট সরাসরি মোদী-শাহের রাজ্যের তিনটি আদালতের রায়ের (সুরাত ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, সুরাত জেলা দায়রা আদালত এবং গুজরাত হাই কোর্ট) উপর স্থগিতাদেশ দেওয়ায় রাজনৈতিক ভাবে অস্বস্তিতে পড়েছে বিজেপি। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের জেরে অনাস্থা বিতর্কের আগে সাংসদ পদে রাহুলের প্রত্যাবর্তন সেই অস্বস্তি আরও বাড়িয়েছে। অন্য দিকে, উজ্জীবিত হয়েছে বিরোধী শিবির। সেই আবহে সচেতন ভাবেই ‘১৩ বার ব্যর্থ রাজনৈতিক অভিষেকের’ কথা বলে রাহুলকে খোঁচা দিয়েছেন শাহ।
সংসদে রাহুলের বক্তৃতায় উল্লিখিত কলাবতী বান্দুরকরের প্রসঙ্গও বুধবার এসেছে ‘শাহি ভাষণে’। রাহুলের নাম না করে তিনি বলেন, ‘‘ওই সাংসদ বুন্দেলখণ্ডের এক দরিদ্র মহিলার বাড়িতে গেলেন। সেই মহিলার নাম কলাবতী। সাংসদ তাঁর বাড়িতে খেলেন। তার পর সংসদে এসে তাঁর দুরবস্থার কথা তুলে ধরলেন। কিন্তু তার পর জানেন কী হল? এই ঘটনার পর আরও চার বছর তাঁর সরকার ক্ষমতায় ছিল। কিন্তু কলাবতীর কোনও উন্নতি হয়নি। সেই কলাবতীকে পাকা বাড়ি, শৌচালয়, কম মূল্যে রান্নার গ্যাস আর বিনা পয়সায় রেশন কারা দিয়েছে শুনবেন? মোদী সরকার দিয়েছেন। আর অদ্ভুত ভাবে সে দিন ওই সাংসদ যে কলাবতীর দুঃখের কথা বলেছিলেন, সেই কলাবতী এখন এই মোদী সরকারকেই সমর্থন করেন।’’
যদিও উত্তরপ্রদেশ-মধ্যপ্রদেশ সীমানার বুন্দেলখণ্ড নয়, কলাবতী ছিলেন মহারাষ্ট্রের বিদর্ভের বাসিন্দা। তাঁর স্বামী ছিলেন পেশায় কৃষক। কিন্তু ঋণের জালে জড়িয়ে পড়ে ২০০৫ সালে আত্মঘাতী হয়েছিলেন বলে অভিযোগ। ভারত-আমেরিকা পরমাণু চুক্তি হলে গ্রামীণ ভারতে কী ভাবে বিদ্যুৎ সংযোগের ব্যবস্থা করা যাবে সে প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে রাহুল ২০০৮ সালে সংসদে কলাবতীর প্রসঙ্গ উল্লেখ করেছিলেন। বলেছিলেন, ‘‘জীবনভর উনি বিদ্যুৎহীন বাড়িতে রয়েছেন।’’
রাহুলের পাশাপাশি শাহ বুধবার দুর্নীতির প্রসঙ্গ তুলে পূর্বতন ইউপিএ সরকারকে বিঁধেছেন। মণিপুর-সহ গোটা উত্তর-পূর্ব ভারতে মাদক নিয়ন্ত্রণ, হিংসা এবং সন্ত্রাসের নানা তথ্য পরিসংখ্যান তুলে ধরে তাঁর মন্ত্রকের সাফল্য বর্ণনা করেছেন। প্রথম এবং দ্বিতীয় মোদী সরকারের জমানা। ভারতের অভূতপূর্ব অগ্রগতির দাবি করেছেন। পাশাপাশি, মোদীর সঙ্গে জনপ্রিয়তার তুলনা টেনে জওহরলাল নেহরু, ইন্দিরা গান্ধীর পাশাপাশি অটলবিহারী বাজপেয়ীকেও পাঠিয়ে দিয়েছেন পিছনের সারিতে! মণিপুর-সহ নানা বিষয়ে শাহের দীর্ঘ বক্তৃতার পরে বিরোধী শিবির থেকে টিপ্পনি উড়ে এসেছে— ‘জবাব দেওয়ার কথা রাজার (প্রধানমন্ত্রী মোদী), জবাব দিচ্ছেন কোতোয়াল (স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ)’। মণিপুর প্রসঙ্গে এত কথা যদি বাদল অধিবেশনে মোদী বলতেন, তবে অনাস্থা প্রস্তাব আনার দরকারই পড়ত না বলে ‘ইন্ডিয়া’র সাংসদদের একাংশের দাবি।
স্বাধীন ভারতে জনপ্রিয়তম মোদী!
স্বাধীন ভারতে নরেন্দ্র মোদীই এক মাত্র প্রধানমন্ত্রী যিনি দেশের অধিকাংশ মানুষের আস্থা অর্জন করেছেন। বুধবার লোকসভায় অনাস্থা বিতর্কে এই দাবি করলেন শাহ। তিনি বলেন, ‘‘মোদী আমজনতার কাছে জনপ্রিয়তম নেতা। প্রধানমন্ত্রী মোদী দেশের মানুষের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেন। তিনি একটিও ছুটি না নিয়ে দিনে ১৭ ঘন্টা এক টানা কাজ করেন। জনগণ তাঁকে বিশ্বাস করে।’’
মণিপুর পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য মোদী তাঁকে এক দিন ভোর ৪টে এবং আর একদিন সকাল সাড়ে ৬টায় ফোন করেছিলেন বলেও দাবি করেন শাহ। সেই সঙ্গে তাঁর মন্তব্য, ‘‘গত ৯ বছরে মোদী ৫০ বার উত্তর-পূর্ব ভারতে গিয়েছেন, এঁরা (বিরোধীরা) মণিপুর নিয়ে জবাব চাইছেন। এঁরা উত্তর-পূর্ব ভারতের জন্য কী করেছেন? আমাকে এক জন প্রধানমন্ত্রী দেখান তো যিনি ১০ বছর বা তার বেশি সময় ধরে প্রধানমন্ত্রী থাকার পরও এত বার উত্তর-পূর্ব ভারতে গিয়েছেন?’’ অনাস্থা-ভোটাভুটির আগেই শাহের ভবিষ্যবাণী— ‘‘এই অনাস্থা প্রস্তাব ব্যর্থ হবে, মোদী সরকার আবার ক্ষমতায় আসবে, কারণ মোদী সরকারের উপর আপনাদের আস্থা না থাকতে পারে, কিন্তু জনতার আস্থা আছে।’’
মণিপুরের ভিডিয়ো ভাইরাল কেন?
মণিপুরে যা হয়েছে, তাকে ‘সমাজের কলঙ্ক’ বলে বুধবার অনাস্থা বিতর্কে মন্তব্য করলেন শাহ। তবে একই সঙ্গে তাঁর প্রশ্ন, ‘‘যাঁরা ওই ভিডিয়ো করেছিলেন বা যাঁরা ওই ভিডিয়ো হাতে পেয়েছিলেন, তাঁরা ওই ভিডিয়ো পুলিশের হাতে তুলে না দিয়ে সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে দিলেন কেন?’’ শাহ বললেন, ‘‘যদি রেকর্ড দেখেন তা হলে জানতে পারবেন, ওই ভিডিয়ো হাতে পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশ পদক্ষেপ করেছিল। কিন্তু সংসদে বাদল অধিবেশনের আগের দিনই ওই ভিডিয়ো ভাইরাল হল কী করে?’’
যদিও তথ্য বলছে, গত ৪ মে ইম্ফল থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে কাংপোকপি জেলায় জনজাতি গোষ্ঠীর দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে হাঁটানো হয়েছিল। তাঁদের গণধর্ষণ করা হয় বলেও অভিযোগ। নির্যাতিতা এক মহিলা সে সময়ই থানায় ‘জিরো এফআইআর’ দায়ের করেছিলেন। কিন্তু অভিযুক্তদের এক জনকেও সে সময় গ্রেফতার করেনি বিজেপি শাসিত মণিপুরের পুলিশ। গত ২০ জুলাই সমাজমাধ্যমে সেই ঘটনার ভিডিয়ো (যার সত্যতা আনন্দবাজার অনলাইন যাচাই করেনি) ছড়িয়ে পড়ার পর দেশ জুড়ে বিতর্ক দানা বাঁধতেই পুলিশি ধরপাকড় শুরু হয়।
মণিপুরের জন্য শান্তিপ্রস্তাব
মণিপুরে নিয়ে সংসদে শান্তি প্রস্তাবের কথা বললেন শাহ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বললেন, ‘‘মণিপুরে যে অশান্তি হচ্ছে, সে ব্যাপারে কোনও সন্দেহ নেই। আমি নিজে সেখানে গিয়েছি। তিন দিন থেকে পরিস্থিতি দেখেছি। এই প্রথম কোনও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গেলেন ওখানে। আপনাদের আরও একটা কথা জানাতে চাই, ৩ জুন এবং ৪ জুন রাতে যে দিন মণিপুরে অশান্তি বড় আকার নিয়েছিল, সেই দু’দিনই প্রধানমন্ত্রী মোদী ভোরবেলায় ঘুম ভাঙিয়েছিলেন আমার। এখনও আমি নিয়মিত মণিপুরে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা বাহিনীর সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করছি। গোটা পরিস্থিতির উপর আমাদের নজর রয়েছে। কিন্তু এ নিয়ে রাজনীতি করাকে সমর্থন করি না।’’
এর পরেই বিরোধীদের বিঁধে শাহের মন্তব্য, ‘‘মণিপুরের ঘটনা সমাজের কলঙ্ক। তবে তা নিয়ে রাজনীতি করা আরও লজ্জার বিষয়। আমি মণিপুরে শান্তি ফেরানোর জন্য শান্তি প্রস্তাবের আবেদন করছি।’’ মণিপুরে ধারাবাহিক অশান্তির কারণ হিসাবে কার্যত সে রাজ্যের বিজেপি সরকার এবং মেইতেই সংগঠনগুলির যুক্তি অনুসরণ করেই কাঁটাতারহীন মায়ানমার সীমান্ত দিয়ে দুষ্কৃতীদের অবাধ যাতায়াতের কথা বলেছেন শাহ। বস্তুত, মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহের সরকার আগেই হিংসার জন্য মায়ানমারে ঘাঁটি গড়া কুকি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলিকে দায়ী করেছিলেন।
কৃষক দরদী মোদী সরকার
কেন্দ্রের তিন বিতর্কিত কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে এক বছরের কৃষক আন্দোলনের সাক্ষী উত্তর ভারত। সাক্ষী, আন্দোলনকারী কৃষকদের ‘খলিস্তানি জঙ্গি’ তকমা দেওয়ার সরকারি প্রচেষ্টারও। শাহ অবশ্য বুধবার তাঁর বক্তৃতায় মোদী সরকারের ‘কৃষক কল্যাণ কর্মসূচি’র দাবি করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘আমরা কৃষকদের স্বনির্ভর করেছি। ওঁদের ঋণ মাফ করিনি, ওঁদের যাতে আর ঋণ নিতেই না হয়, সেই ব্যবস্থা করেছে এই সরকার।’’ মনমোহন সরকার যে পরিমাণ ধান-গম কিনত তার দ্বিগুণেরও বেশি ধান-গম কিনেছে এই মোদী সরকার। আর আগের সরকার যে দাম দিয়ে ধান-গম কিনেছে, তার থেকে অনেক বেশি দাম দিয়ে কৃষকদের থেকে ধান এবং গম কিনেছে সরকার। অর্থাৎ আমরা কৃষকদের থেকে বেশি শস্য কিনেছি, বেশি দাম দিয়েও কিনেছি।’’
১২ লক্ষ কোটির দুর্নীতি, এবং ‘ইন্ডিয়া’
ইউপিএ কেন নাম বদলেছে, বুধের অনাস্থা বিতর্কে তার ‘ব্যাখ্যা’ দিলেন অমিত শাহ। লোকসভায় এক রকম স্লোগান দেওয়ার ঢঙে জানালেন কী কী দুর্নীতি হয়েছে ইউপিএ আমলে। তাঁর পিছনে কোরাসে গলা মেলালেন বিজেপি সাংসদেরা। তার পর বললেন, ‘‘ওদের মাথায় ১২ লক্ষ কোটি টাকার দুর্নীতি রয়েছে। নাম তো বদলাতেই হত। তাই এখন ইউপিএ ‘ইন্ডিয়া’ হয়েছে। মোদী তাই আজ বলেছেন, দুর্নীতিবাজেরা ভারত ছাড়ো। তোষণকারীরা ভারত ছাড়ো। পরিবারতন্ত্রের পূজারীরা ভারত ছাড়ো।’’ ঘটনাচক্রে, বুধের তারিখ ছিল ৯ অগস্ট। ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে মহাত্মা গান্ধীর ‘ভারত ছোড়ো’ (কুইট ইন্ডিয়া) আন্দোলনের বর্ষপূর্তি।
গোষ্ঠী সংঘাত এবং রাজনীতি
শাহের দাবি, ভারতের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব হয়েছে জওহরলাল নেহরু, ইন্দিরা গান্ধী এবং রাজীব গান্ধীর প্রধানমন্ত্রিত্বে। কিন্তু বিজেপি কখনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জোড়েনি। এর জবাবে বিরোধীরা আপত্তি তোলেন। এর পর ২০০২ সালের গোধরা পরবর্তী গুজরাত দাঙ্গার প্রসঙ্গ উঠতেই শাহের মন্তব্য, ‘‘আসলে এঁরা শান্তি চান না। এঁরা এখনই ওয়াক আউট করবেন।’’
বিজেপির ‘নীতি’ বনাম বিরোধীদের ‘ক্ষমতা’
বুধবার অনাস্থা বিতর্কে শাহ বলেন, ‘‘বিরোধীরা ‘গরিবি হটাও’ স্লোগান দিয়েছিল। কিন্তু কাজের কাজ কিছু করেনি। তার কারণ ওদের কখনওই কাজ করার উদ্দেশ্য ছিল না। উদ্দেশ্য ছিল ক্ষমতা কুক্ষিগত করা। সেই ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য ওরা দুর্নীতি করেছে। আর মোদী সরকার এসে দেশ থেকে দারিদ্র দূর করার কাজ করেছেন। ওরা যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে গিয়েছিল, তা পূরণ করেছে। তার কারণ বিজেপি এবং এনডিএ নীতিতে বিশ্বাস করে। তারা নীতির জন্য রাজনীতি করে। রাজনীতির ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য দুর্নীতি করে না।’’
মনমোহন এবং মোদী সরকারের কথায় এবং কাজের ফারাক রয়েছে বলেও দাবি করেন শাহ। তিনি বলেন, ‘‘বিরোধীরা এই সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছে। পরিসংখ্যান দেখলে বোঝা যাবে এই সরকারের সঙ্গে আগের সরকারের তফাত কতটা। কৃষকদের ঋণমুক্ত করা থেকে শুরু করে দরিদ্রদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা দেওয়া এমনকি, তাদের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখার কাজও করে এই সরকার। কমিশন ছাড়া আগের সরকার কিছু করেনি। এই সরকার সরাসরি জনতার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়েছে। ওরা বলে, এই প্রকল্প কারা এনেছিল, কারা উদ্যোগী হয়েছিল। আমার বক্তব্য, ঠিকই বলেছেন। আপনারা শুধু বলেছেন। আমরা কাজে করে দেখিয়েছি। ওদের কথায় এবং কাজে ফারাক ছিল। আমাদের নেই।’’
খোঁচা দিলেন অধীরকেও
অমিত শাহের বক্তৃতার মধ্যেই কথা বলছিলেন কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা অধীর চৌধুরী। অমিত বললেন, ‘‘আপনাকে আমি আমার বলার সময় থেকে ৩০ মিনিট দেব। যাতে আপনি বলতে পারেন। কিন্তু আপাতত বসে যান।’’ এর পরেই অধীরকে নিশানা করে শাহের কটাক্ষ, ‘‘আমি বুঝতে পারছি আপনার দল আপনাকে বলতে দেয়নি বলেই আপনি এ ভাবে কথার মাঝে কথা বলছেন।’’