National News

সুইস ট্রেনার এয়ারক্র্যাফ্ট ক্রয়েও ঘুষের অভিযোগ, বিমানবাহিনীর বিরুদ্ধে মামলা সিবিআইয়ের

অভিযোগ, ২০১২ সালে সুইৎজারল্যান্ডের একটি সংস্থা ‘পিলাতাস এয়ারক্র্যাফ্ট’-এর কাছ থেকে বিমানবাহিনীর জন্য ৭৫টি প্রশিক্ষণের বিমান কেনার চুক্তি করে তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের সরকার। সে ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল সঞ্জয় ভাণ্ডারীর।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২২ জুন ২০১৯ ১৩:৫৪
Share:

পিলাতাস পিসি-৭ এমকে-টু বিমান। ছবি- টুইটারের সৌজন্যে।

ইউপিএ আমলে বিদেশি সংস্থার সঙ্গে অস্ত্র ও প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কেনার চুক্তিতে ফের ঘুষের অভিযোগ উঠল। সিবিআই মামলা দায়ের করল প্রতিরক্ষা মন্ত্রক, বিমানবাহিনী, অস্ত্র-দালাল সঞ্জয় ভাণ্ডারী ও বিদেশি সংস্থাটির জনাকয়েক কর্তার বিরুদ্ধে।

Advertisement

অভিযোগ, ২০১২ সালে সুইৎজারল্যান্ডের একটি সংস্থা ‘পিলাতাস এয়ারক্র্যাফ্ট’-এর কাছ থেকে বিমানবাহিনীর জন্য ৭৫টি প্রশিক্ষণের বিমান কেনার চুক্তি করে তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের সরকার। সে ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল সঞ্জয় ভাণ্ডারীর। ওই বিমান কেনার সময় ৩৩৯ কোটি টাকা ঘুষ দেওয়া হয় বলে সিবিআইয়ের অভিযোগ।

দিল্লি ও তার আশপাশে সঞ্জয় ও অন্য অভিযুক্তদের বাড়ি ও অফিসে শুক্রবার জোর তল্লাশি চালানো হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রের খবর। শনি ও রবিবার আরও কয়েকটি জায়গায় তল্লাশি চালাবেন সিবিআই অফিসাররা।

Advertisement

আরও পড়ুন- জঙ্গি দমনে ব্যবস্থা না হলে কালো তালিকাভুক্ত করা হবে, পাকিস্তানকে চরম হুঁশিয়ারি

আরও পড়ুন- বিমানের তল্লাশি তদারকিতে খোদ বায়ুসেনা প্রধান​

অস্ত্র-দালাল সঞ্জয় ভাণ্ডারীর মালিকানায় চলা একটি সংস্থা অফসেট ইন্ডিয়া সলিউশন্স প্রাইভেট লিমিটেডের নামও রয়েছে সিবিআইয়ের এফআইআরে। সংস্থাটি রয়েছে দক্ষিণ দিল্লির পঞ্চশীল পার্কে। ‘পিলাতাস এয়ারক্র্যাফ্ট’-এর কাছ থেকে বেসিক ট্রেনার এয়ারক্র্যাফ্টগুলি কেনার ব্যাপারে অফসেট ইন্ডিয়া সলিউশন্সের কী ভূমিকা ছিল, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

সুইস সংস্থার কাছ থেকে ৭৫টি বেসিক ট্রেনার এয়ারক্র্যাফ্ট (বিটিএ) কেনার ব্যাপারে যে অস্ত্র-দালাল সঞ্জয়ের ভূমিকা ছিল, তা প্রথম জানা যায় ২০১৬ সালে। লন্ডনে প্রিয়ঙ্কা গাঁধীর স্বামী রবার্ট বঢরার একটি বেনামি সম্পত্তি কেনার ব্যাপারে সঞ্জয়ের ভূমিকা নিয়েও আলাদা ভাবে তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই। তাঁকে জেরাও করা হয়েছে।

বিমানবাহিনীতে ঢোকার পরেই জওয়ানদের যে বিমানে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় তার নাম- ‘বেসিক ট্রেনার এয়ারক্র্যাফ্ট’। এখনও যে বিমান দিয়ে সেই কাজটা করানো হয়, স‌েগুলি ‘এইচটিপি-৩২’। এগুলি আমাদের দেশে তৈরি। কিন্তু এই বিমানগুলি দিয়ে আর তেমন কাজ হচ্ছে না। আধুনিকতার সঙ্গে সেগুলি পাল্লা দিতে পারছে না বুঝেই বছর দশেক আগেই তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ সরকার ওই সুইস সংস্থাটির বানানো বিমান কেনার সিদ্ধান্ত নেয়। পিলাতাস এয়ারক্র্যাফ্টের বানানো ওই বিমানগুলির নাম- ‘পিলাতাস পিসি-৭ এমকে-টু’। তার পর ২০১২ সালে ৭৫টি বিমান কেনার জন্য পিলাতাসের সঙ্গে ২ হাজার ৮৯৬ কোটি টাকার চুক্তি করে মনমোহন সরকার।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement