ICMR

সরকারি হিসেবের অনেক বেশি মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, দাবি সূত্রের

আইসিএমআর-এর সেরো-সমীক্ষার সঙ্গে যুক্ত এক বিশেষ সূত্রের দাবি, ১৩৫ কোটি ভারতীয়ের ৩০ কোটিই ইতিমধ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ২০:৫৬
Share:

প্রতীকী ছবি।

সরকারি হিসেব বলছে, দেশের মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১.০৮ কোটি। তবে একটি বিশেষ সূত্রে পাওয়া ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ(আইসিএমআর)-এর সেরোলজিক্যাল সমীক্ষার তথ্যে ইঙ্গিত, সংখ্যাটা আসলে অনেক অনেক বেশি। নয় নয় করেও প্রায় ৩০ গুণ।

Advertisement

আইসিএমআর-এর সেরো-সমীক্ষার সঙ্গে যুক্ত এক বিশেষ সূত্রের দাবি, ১৩৫ কোটি ভারতীয়ের ৩০ কোটিই ইতিমধ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। অর্থাৎ হিসেব করলে গত ১১ মাসে প্রতি ৪ জন ভারতবাসীর মধ্যে ১ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই সূত্রকে উদ্ধৃত করে খবরটি প্রকাশ করেছে জাতীয় স্তরের এক সংবাদমাধ্যম। যদিও যে সংস্থার সমীক্ষায় তথ্যটি সামনে এসেছে বলে দাবি, সেই আইসিএমআর-এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে জানানো হয়, এ নিয়ে বৃহস্পতিবার একটি সাংবাদিক বৈঠকেই যা বলার বলবেন তাঁরা।

সরকারি ভাবে ব্যাপারটি প্রকাশ হওয়ার আগে সমীক্ষার বিশদ জানায়নি ওই সূত্রও। কত জনকে নিয়ে সমীক্ষা করা হয়েছে বা কী পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে, তা-ও জানা যায়নি।

Advertisement

তবে এর আগে অগস্ট সেপ্টেম্বরে একই ধরনের সমীক্ষা করেছিল এই সংস্থা। ২৯ হাজার দেশবাসী, যাঁদের বয়স অন্তত ১০ বছর, তাঁদের রক্তের নমুনা পরীক্ষা করে সমীক্ষাটি চালানো হয়েছিল। তখনই জানা গিয়েছিল, প্রতি ১৫ জনের মধ্যে ১ জন ভারতীয়ের শরীরে করোনাকে প্রতিরোধ করার ক্ষমতা তৈরি হয়ে গিয়েছে। তাঁদের শরীরে রয়েছে অ্যান্টিবডি।

একই সমীক্ষা চালানো হয়েছিল, শহুরে বস্তি এলাকাগুলিতেও। দেখা যায়, সেখানে এই হার আরও বেশি। বস্তিবাসী প্রতি ৬ জনের মধ্যে ১ জনের দেহে রয়েছে করোনা ভাইরাসের অ্যান্টিবডি।

এ সপ্তাহের শুরুতেই একটি বেসরকারি সমীক্ষার রিপোর্ট প্রকাশ করেছিল দিল্লি সরকার। তাতে জানা যায়, রাজধানী শহরের ২ কোটি বাসিন্দার ৫৫ শতাংশই করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের শরীরে অ্যান্টিবডিও তৈরি হয়ে গিয়েছে। থাইরোকেয়ার টেকনোলজিস নামে একটি স্বাস্থ্য পরীক্ষা সংস্থা ওই সমীক্ষা চালিয়েছিল। তবে আইসিএমআর-এর গবেষণার সঙ্গে জড়িত ওই সূত্রের দাবি, তাঁদের পরীক্ষা পদ্ধতি বেসরকারি সংস্থাটির তূলনায় অনেক বেশি রক্ষণশীল এবং বিশ্বাসযোগ্যও।

প্রসঙ্গত, বিশ্ব স্বা্স্থ্য সংস্থা জানিয়েছিল, করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে হলে দেশের ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ মানুষের মধ্যে করোনা প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হতে হবে। তবেই সংক্রমণের শৃ্ঙ্খল ভেঙে ফেলতে পারবে দেশ। ভারতের ক্ষেত্রে তা হলে কি সেই শৃঙ্খলা শীঘ্রই ভাঙতে চলেছে?

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement