দু’হাতেই সমানতালে লিখতে দক্ষ পড়ুয়ারা। প্রতীকী ছবি।
ওরা আধুনিক যুগের ‘সব্যসাচী’। এক হাতে নয়, লেখার সময়ে দু’হাতই সমানতালে চলে ওদের। একই লেখায় প্রথম বর্ণ ডান হাতে, দ্বিতীয় বর্ণ আবার বাঁ হাতে লিখতে পারে ওরা। শুধু তাই-ই নয়, এমন দক্ষতা ছাড়াও ওরা পাঁচটি ভাষাতেও পারদর্শী। তার মধ্যে যেমন হিন্দি রয়েছে, তেমনই রয়েছে সংস্কৃত, ইংরেজি, উর্দু এবং স্প্যানিশ।
মধ্যপ্রদেশের সিঙ্গরাউলি জেলার বুধেলা গ্রাম। এই গ্রামেই রয়েছে একটি বেসরকারি স্কুল। সেই স্কুলের একশোরও বেশি পড়ুয়া দু’হাতে লেখায় সমান ভাবে দক্ষ। অষ্টম শ্রেণির ছাত্র পঙ্কজ যাদব এক সংবাদমাধ্যমকে বলে, “প্রথমে আমি ডান হাতেই লিখতাম। কিন্তু পরে বাঁ হাতেও লেখা শিখি। তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ার সময়ই দু’হাতে লেখা শিখে ফেলেছিলাম।” আর এক ছাত্র আদর্শ কুমার বলে, “প্রথমে ডান হাতে লেখা শুরু করেছিলাম। পরে বাঁ হাতে লিখতে শুরু করি। একই সঙ্গে পাঁচটি ভাষাও শিখেছি এই স্কুলে।”
১৯৯৯ সালে বুধেলা গ্রামের এই স্কুলের পথচলা শুরু। স্কুলে অধ্যক্ষ বীরঙ্গদ শর্মা বলেন, “দু’হাতে লেখার ভাবনা শুরু হয় দেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ডক্টর রাজেন্দ্রপ্রসাদকে দৃষ্টান্ত হিসেবে সামনে রেখে। একটা অনুপ্রেরণা হিসেবে সেটা স্কুলের পড়ুয়াদের মধ্যে চারিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আর সেই থেকেই এই অনুশীলন চলছে।” এই স্কুল থেকে এখনও পর্যন্ত ৪৮০ জন পাশ করে বেরিয়েছেন। তাঁরা প্রত্যেকেই দু’হাতে লিখতে পারেন। জানেন পাঁচটি ভাষাও।
স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, এক এক জন পড়ুয়া ১১ ঘণ্টায় ২৪ হাজার শব্দ লিখতে পারে। উর্দুতে ১ থেকে ১০০ পর্যন্ত সংখ্যা ৪৫ সেকেন্ডে গুনতে পারে। ১ মিনিটে ২৫০টি শব্দ অনুবাদ করতে পারে এই স্কুলের পড়ুয়ারা।