প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
অঙ্গ প্রতিস্থাপন সংক্রান্ত একটি দুর্নীতি চক্র ফাঁস রাজস্থানের রাজধানী জয়পুরে। তদন্তে নেমে রাজ্যের দুর্নীতি দমন শাখা (এসিবি) শহরেরই এমন বেশ কয়েকটি হাসপাতাল সন্দেহের তালিকায় এনেছে, যেগুলি এই চক্রের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে জড়িয়ে রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। সম্প্রতি শহরেরই দুই হাসপাতালের কয়েক জন কর্মীর এই চক্রে জড়িত থাকার হদিস পেয়েছে এসিবি।
এসিবি সূত্রে খবর, বিদেশিদের কাছে চড়া দামে অঙ্গ বিক্রি করা হয়। সেই লেনদেনের কোনও বৈধ কাগজপত্র তৈরি করা হয় না। কারও অঙ্গ প্রতিস্থাপনের প্রয়োজন হলে এই চক্রের মাধ্যমে চড়া দামে বিক্রি হয়। শুধু তাই-ই নয়, খুব সহজ উপায়ে অঙ্গ প্রতিস্থাপনের লোভ দেখিয়ে মোটা টাকা নেওয়া হয় রোগীর পরিবারের কাছ থেকে। আর এই ব্যবসার জাল অনেক দূর বিস্তৃত বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা।
এসিবির ডিআইজি রবি জানিয়েছেন, অঙ্গ বিক্রিতে যে ঘুষ নেওয়া হচ্ছে, সে ক্ষেত্রে ‘নো অবজেকশন সার্টিফিকেট (এনওসি)’ও বানানো হচ্ছে। যাতে এই দুর্নীতি ফাঁস না হয়ে যায়। কিন্তু গোপন সূত্রে তাঁদের কাছে খবর আসে, ঘুষের বিনিময়ে অঙ্গ ক্রয়-বিক্রয় চলছে বেশ কয়েকটি হাসপাতালে। তদন্তে নেমে জয়পুরের দু’টি হাসপাতাল থেকে কয়েক জন কর্মীকে এই লেনদেনের সময় হাতেনাতে ধরা হয়েছে। এ মাসেরই গোড়াতে সরকার পরিচালিত সাওয়াই মা সিংহ হাসপাতালের এক কেরানিকে অঙ্গ ক্রয়-বিক্রয়ের ভুয়ো এনওসি বানানোর জন্য গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ছাড়াও দুই বেসরকারি হাসপাতালের দুই আধিকারিক অনিল কুমার জোশী এবং বিনোদ সিংহকে গ্রেফতার করেছে এসিবি।
এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই শহরের বেশ কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতাল তদন্তকারীদের সন্দেহের তালিকায় উঠে এসেছে। এসিবি সূত্রে খবর, ১২টি বেসরকারি হাসপাতালে এই ধরনের দুর্নীতি চলছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।