প্রথমে লাদাখ, পরে তাওয়াংয়ে চিনের সেনার আগ্রাসন নিয়ে সংসদের চলতি অধিবেশনের গোড়া থেকেই বিরোধীরা আলোচনার দাবি তুলছেন। ফাইল চিত্র।
সীমান্তে ভারত-চিন সংঘাত নিয়ে মোদী সরকার সংসদে আলোচনায় রাজি না হওয়ায় বিরোধীরা আজ রাজ্যসভার অধিবেশন বয়কট করলেন। বিরোধীদের হাঙ্গামায় দফায় দফায় লোকসভার অধিবেশন মুলতুবি রইল।
প্রথমে লাদাখ, পরে তাওয়াংয়ে চিনের সেনার আগ্রাসন নিয়ে সংসদের চলতি অধিবেশনের গোড়া থেকেই বিরোধীরা আলোচনার দাবি তুলছেন। কিন্তু মোদী সরকার রাজি হয়নি।
আজ সংসদ শুরুর আগে মল্লিকার্জুন খড়্গের ঘরে বিরোধীরা বৈঠক করে ফের এ বিষয়ে চাপ তৈরির সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু আলোচনায় যাওয়ার বদলে রাজ্যসভার দলনেতা পীযূষ গয়াল কংগ্রেসকেই নিশানা করে বলেন, জওহরলাল নেহরুর আমলে চিন ও পাকিস্তান ভারতের ৩৮ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকা দখল করে নিয়েছিল। চিনের দূতাবাস থেকে রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশন ১ কোটি টাকা চাঁদা নিয়েছে বলেও অভিযোগ তোলেন তিনি।
রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড় পরিস্থিতি সামলাতে নিজের চেম্বারে সরকার ও বিরোধীদের বৈঠক ডাকলেও খড়্গে জানান, বন্ধ দরজার পিছনে কোনও কথা হবে না। যা হবে সংসদের কক্ষে। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের অভিযোগ, ইউপিএ জমানায় অরুণাচলের সাংসদ কিরেণ রিজিজু চিন নিয়ে আলোচনা চাইলে প্রণব মুখোপাধ্যায় তঁকে চেম্বারে ডেকে পাঠিয়েছিলেন। বিরোধীরা অধিবেশন বয়কটের আগে ওয়েলে নেমে প্রতিবাদ করায় চেয়ারম্যান ধনখড় তাঁদের সতর্ক করে বলেন, তাঁকে চরম পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করা হচ্ছে। লোকসভাও দফায় দফায় মুলতুবি হয়ে যাওয়ায় কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বিবৃতি ছাড়া আর কোনও কাজ হয়নি।