রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। —ফাইল চিত্র।
ধারাবাহিক রেল দুর্ঘটনার আবহে আজ লোকসভায় রেলের বাজেট-বরাদ্দ নিয়ে বিতর্কে বিরোধীদের প্রবল আক্রমণের মুখে পড়তে হল রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবকে। আজ প্রশ্নোত্তর-পর্বে বুলেট ট্রেনের গুণাগুণ নিয়ে অশ্বিনী সরব হলেও, রেল দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে একটি বাক্যও তিনি ব্যয় করেননি। কাল লোকসভায় বাজেট-বিতর্কে জবাব দেওয়ার কথা রয়েছে অশ্বিনীর।
আজকের বিতর্কে রেল দুর্ঘটনা নিয়ে সরব হন বহু বিরোধী সাংসদ। দুর্ঘটনা রুখতে সমগ্র রেল পরিচালন ব্যবস্থাকে ‘কবচ’ প্রযুক্তির আওতায় এনে কেন ওই খাতে অতিরিক্ত অর্থ বরাদ্দ করা হল না, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন রাজস্থানের টঙ্ক-সোঁয়াই মাধোপুরের কংগ্রেস সাংসদ হরিশ মীনা। তাঁর প্রশ্ন, সব ছেড়ে ‘কবচ’ প্রযুক্তির দ্রুত রূপায়ণে কেন জোর দিচ্ছে না রেল মন্ত্রক? রেলের সামগ্রিক পরিকাঠামো উন্নয়নের প্রশ্নে সরকারের বিরুদ্ধে নেতিবাচক ভূমিকার অভিযোগ তুলে নতুন করে রেল বাজেট পেশের দাবি জানান বিহারের সিপিআই (এমএল) সাংসদ সুদামা প্রসাদ।
তৃণমূল সাংসদ জুন মালিয়া বলেন, রেলযাত্রা এখন দুঃস্বপ্নে পরিণত। অবিলম্বে রেলের নিরাপত্তায় জোর দেওয়ার পাশাপাশি প্রবীণ নাগরিকদের ভাড়ায় ছাড় ফিরিয়ে আনার দাবি তোলেন তিনি। আর এক তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, বর্তমান সরকারের আমলে দুর্ঘটনা বেড়েছে। যাত্রী-সুরক্ষা নিশ্চিত করার দাবির পাশাপাশি হাওড়া-শিয়ালদহ সেকশনে প্যাসেঞ্জার ট্রেন বাড়ানো, ফুরফুরা শরিফে রেলপথ এবং রিষড়া ও বৈদ্যবাটিতে ওভারব্রিজের দাবি জানান কল্যাণ। মথুরাপুরের তৃণমূল সাংসদ বাপি হালদার বলেন, ‘‘এই বাজেটে নতুন রেলপ্রকল্প তো নেই-ই, কোথাও সুরক্ষার কথাও বলা হয়নি। জানি না ট্রেনে উঠলে গন্তব্যে পৌঁছব কি না।’’ আরামবাগ লোকসভার তৃণমূল সাংসদ মিতালি বাগ রামমোহন রায়ের জন্মস্থল খানাকুল থেকে বিদ্যাসাগরের বীরসিংহ পর্যন্ত এবং আরামবাগ থেকে বর্ধমান পর্যন্ত রেল পরিষেবার দাবি তোলেন। তাঁরও অভিযোগ, দেশবাসীকে রেলপথে নিরাপত্তা দিতে কেন্দ্র ব্যর্থ।
গঢ়ওয়ালের বিজেপি সাংসদ অনিল বালুনির পাল্টা দাবি, গত দশ বছরে সোনালি যুগের সাক্ষী থেকেছে রেল। পরিকাঠামোগত উন্নয়নে নজর দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই চলতি বাজেটে সুরক্ষা খাতে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে।