স্ট্যালিনের ডাকে এক ছাতার তলায় আসতে চলেছেন বিরোধীরা? — ফাইল ছবি।
সোমবারই গুজরাতের সুরতের দায়রা আদালতে আবেদন করতে চলেছেন রাহুল গান্ধী, এমনই খবর কংগ্রেস সূত্রে। একই দিনে এক ছাতার তলায় আসতে চলেছে দেশের উল্লেখযোগ্য বিজেপি বিরোধী শক্তিরা। তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী তথা ডিএমকে প্রধান এমকে স্ট্যালিনের ডাকে সামাজিক ন্যায়ের একটি অনুষ্ঠানে হাজির থাকার কথা বিরোধী নেতৃত্বের। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, বৈঠকে হাজির থাকতে চলেছেন তৃণমূলের প্রতিনিধিরাও।
স্ট্যালিনের ডাকে অনুষ্ঠানে হাজির হতে পারেন বলে জানিয়েছেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন এবং বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব। এ ছাড়াও তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও প্রতিনিধি পাঠাতে পারেন। সূত্রের খবর, তৃণমূলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করতে পারেন ডেরেক ও’ব্রায়েন। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়ালের দল আপও বৈঠকে প্রতিনিধি পাঠাতে পারে। তাঁদের হয়ে বৈঠকে হাজির থাকতে পারেন সাংসদ সঞ্জয় সিংহ। তেলঙ্গানার কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের দল বিআরএসের হয়ে থাকতে পারেন কেশব রাও।
সাম্প্রতিক কালে জাতীয় রাজনীতিতে সোমবারের কর্মসূচি ডিএমকের তরফ থেকে দ্বিতীয় প্রয়াস হিসাবেই দেখা হচ্ছে। এর আগে স্ট্যালিনের ৭০তম জন্মদিনের অনুষ্ঠানে হাজির হতে চেন্নাই গিয়েছিলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে, তেজস্বী যাদব, ফারুক আবদুল্লারা। এ বার আরও বেশি বিরোধী নেতৃত্বের থাকার কথা স্ট্যালিনের ডাকে আয়োজিত বৈঠকে।
রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ করার ঘটনা বিরোধীদের এক সুরে বাঁধতে সাহায্য করেছে। কংগ্রেসের সঙ্গে ‘দূরত্ব’ ভুলে কাছাকাছি আসার ইঙ্গিত দিয়েছে তৃণমূল, আপের মতো দল। এই পরিস্থিতিতে বিরোধী ঐক্য আরও মজবুত করে আগামী লোকসভার সলতে পাকানো শুরু করতে চান অনেক বিরোধী নেতৃত্বই। যদিও সেই জোটের আকার-প্রকার নিয়ে মতভেদ রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সামগ্রিক ভাবে মোদী বিরোধী ঐক্য প্রতিষ্ঠার স্ট্যালিনের প্রয়াস কতটা সফল হয়, তা অবশ্য ভবিষ্যৎই বলবে।