Rahul Gandhi

জেলযাত্রার রায়কে চ্যালেঞ্জ, সপ্তাহের শুরুতেই সুরতের আদালতে যেতে পারেন রাহুল, দাবি সূত্রের

আগামী সপ্তাহের শুরুতেই সুরতের দায়রা আদালতে আবেদন করতে পারেন রাহুল গান্ধী। সুরতেরই একটি ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের আদালত রাহুলকে দোষী সাব্যস্ত করে ২ বছরের সাজা শুনিয়েছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০২৩ ১০:৫৯
Share:

আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চতর আদালতে যাচ্ছেন রাহুল গান্ধী। — ফাইল ছবি।

মোদী পদবি নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করায় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে দোষী সাব্যস্ত করে ২ বছরের কারাদণ্ডের রায় শুনিয়েছে গুজরাতের সুরতের একটি আদালত। এ বার সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে আদালতেরই দ্বারস্থ হতে চলেছেন রাহুল। সূত্রের খবর, ২০১৯-এর মোদী পদবি মামলার রায় এবং সাজাকে চ্যালেঞ্জ করে সুরতের দায়রা আদালতে আবেদন করতে চলেছেন সাংসদ পদ খারিজ হওয়া এই কংগ্রেস নেতা। তবে রাহুল বা কংগ্রেস, কোনও তরফেই এই খবরের সত্যতা আনুষ্ঠানিক ভাবে স্বীকার বা অস্বীকার করা হয়নি।

Advertisement

২০১৯-এর লোকসভা ভোটের প্রচার করতে নেমে কর্নাটকের একটি জনসভায় মোদী পদবি নিয়ে রাহুল বলেছিলেন, ‘‘সব চোরেদের পদবি মোদীই কী করে হয়!’’ রাহুলের এই মন্তব্যে সমগ্র মোদী সম্প্রদায়ের মানুষের মর্যাদাহানি হয়েছে বলে দাবি করে গুজরাতের সুরতের একটি আদালতে কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন ওই রাজ্যেরই এক বিজেপি বিধায়ক পূর্ণেশ মোদী। সেই মানহানি মামলার রায় দিয়ে রাহুলকে দোষী সাব্যস্ত করে সুরতের একটি ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের আদালত। তাঁকে ২ বছরের কারাদণ্ডের সাজা শোনানো হয়। যদিও, উচ্চ আদালতে আবেদনের জন্য ৩০ দিন সময় দেওয়া হয় রাহুলকে। সেই সময়সীমার মধ্যেই রাহুল সুরতের দায়রা আদালতে সাজা মকুবের আবেদন জানাতে চলেছেন বলে সূত্রের খবর। সম্ভবত সোমবারই দায়রা আদালতে জমা পড়বে রাহুলের আবেদনপত্র। সূত্রের খবর, রাহুল আবেদনে সুরতের ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের রায় এবং সাজা স্থগিত করার আবেদন জানাবেন।

আদালতে রায় খারিজের আবেদন জানানোর কথা চলছে। যদিও এখনও পর্যন্ত কংগ্রেস তথা বিরোধীরা একে কেবল আইনি ঘেরাটোপেই সীমাবদ্ধ রাখতে রাজি নন। যে ভাবে ‘বুলেট ট্রেন’-এর গতিতে রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ হয়েছে এবং তাঁকে সাংসদদের দেওয়া বাসভবন ছাড়ার নোটিস জারি হয়েছে, তাতে বিজেপি সরকারের প্রতিহিংসার রাজনীতি খুঁজে পাচ্ছে বিরোধী শিবির। তাই রাজনীতির ময়দানেও এই বিষয় নিয়ে সরব হয়েছেন তাঁরা। রাহুলের দাবি, তিনি শিল্পপতি গৌতম আদানির সঙ্গে নরেন্দ্র মোদীর সম্পর্ক খোলসা করার দাবি জানাচ্ছেন কিন্তু তাতেই ভয় পেয়ে যাচ্ছেন মোদী। কারণ, রাহুলের অভিযোগ, আদানি গোষ্ঠীর রাতারাতি কোটিপতি-শ্রেষ্ঠ হয়ে ওঠার পিছনে মোদীর হাত আছে। তাই এই সম্পর্ক প্রকাশ্যে আনতে প্রয়োজন যৌথ সংসদীয় কমিটির (জেপিসি) তদন্ত। প্রত্যাশিত ভাবেই জেপিসি তদন্তের দাবি মানতে রাজি নয় কেন্দ্র। কংগ্রেসের দাবি, বেকায়দায় পড়ে গিয়ে রাহুলের সাংসদ পদই খারিজ করেছে মোদী সরকার।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement