প্রতীকী ছবি।
কংগ্রেসের সাংসদেরা পেট্রল-ডিজেলে কর বসানোর প্রতিবাদে ওয়াক-আউট করছেন। কিন্তু তৃণমূল একইসঙ্গে ওয়াক-আউটে নারাজ। তাই তৃণমূল ওয়াক-আউট করছে কিছু পরে। কংগ্রেস কোনও বিষয়ে সরব হলে এনসিপি গলা মেলাচ্ছে না। বিরোধী আসনের প্রথম সারিতেই সনিয়া গাঁধীর পাশে বসছেন মুলায়ম সিংহ যাদব। কিন্তু কংগ্রেসের সঙ্গে এসপি-বিএসপি’র সম্পর্কে শৈত্য কাটছে না।
নতুন সরকার গঠনের পর দেড় মাস কেটে গিয়েছে। কিন্তু তারপরেও বিরোধীদের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব প্রবল ভাবেই ফুটে উঠছে। এর আগে কর্নাটকে কুমারস্বামী সরকার ফেলে দেওয়ার চেষ্টার প্রতিবাদে কংগ্রেস ও অন্যান্য বিরোধী দল একসঙ্গে গাঁধী মূর্তির সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছিল। তাতে সূত্রধরের ভূমিকা নিয়েছিল তৃণমূল। শুক্রবারও এ বিষয়ে সব দল একসঙ্গে লোকসভায় ওয়াক-আউট করেছে। কিন্তু এককাট্টা হয়ে মোদী সরকারের কোনও বিলে বাধা দেওয়া বা সরকারকে নাকানিচোবানি খাওয়ানোর মতো ঘটনা এখনও ঘটেনি। সব দলেরই যুক্তি, সামনে কোনও ভোট নেই। তাই বিরোধী ঐক্যের বদলে প্রত্যেকে নিজের মতো রাজনীতি করছে। তবে সংসদে যেটুকু দরকার, সেটুকু প্রয়োজন মতো কথা বলে নেওয়া হচ্ছে। সেই সুযোগই নিচ্ছে মোদী সরকার। লোকসভায় এমনিতেই সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোর। সেই সঙ্গে রাজ্যসভাতেও বিরোধীদের সমন্বয়ের অভাবের সুযোগ নিয়ে, সংসদীয় কমিটিতে আলোচনা ছাড়াই সরকার একের পর এক বিল পাশ করিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে।
রাজ্যসভায় আজ এ নিয়ে সরব হয়েছেন তৃণমূলের দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন। মোদী সরকার আগামী সপ্তাহে ন’টি বিল কার্যসূচিতে রেখেছে। ডেরেক বলেন, ‘‘এখনও বিভিন্ন মন্ত্রকের স্থায়ী কমিটি তৈরি হয়নি। ন’টি বিলের মধ্যে শুধু মোটর ভেহিকল বিল স্থায়ী কমিটি খতিয়ে দেখেছে। ১১টি বিল একইভাবে পাশ হয়েছে। ১৯টি বিল স্থায়ী কমিটিতে আলোচনা ছাড়াই পাশ হচ্ছে।’’
রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নায়ডু বলেন, ‘‘বেশ কিছু দলই স্থায়ী কমিটির মনোনীত সদস্যদের নাম দেননি। সব দলের কাছে অনুরোধ, তাঁরা দ্রুত নাম দিলে স্থায়ী কমিটি হতে পারে।’’ তবে তাঁর বক্তব্য, গভীর রাত পর্যন্ত সংসদ চলছে। বিলের প্রতিটি ধারা ধরে ধরে আলোচনা হচ্ছে।
কংগ্রেসই এখনও স্থায়ী কমিটিতে সদস্য মনোনীত করেনি। তৃণমূল অবশ্য সদস্যদের নাম পাঠিয়েছে।