রাজ্যসভা। —ফাইল চিত্র।
বিরোধীশাসিত রাজ্যে অর্থনৈতিক অবরোধ তৈরি করতে চাইছে শাসক বিজেপি। এই অভিযোগ তুলে সোমবার রাজ্যসভায় কক্ষত্যাগ (ওয়াকআউট) করল কংগ্রেস-সহ বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র শরিক দলগুলি। সংসদের ভিতরে এই নিয়ে বিক্ষোভও দেখায় ‘ইন্ডিয়া’র শরিকেরা। নানা টালবাহানার পরে গত রবিবার জানা যায় যে, ১৯ ডিসেম্বর দিল্লিতে ‘ইন্ডিয়া’র চতুর্থ বৈঠক হতে চলেছে। ওই বৈঠকের আলোচ্যসূচিতে আসনরফার বিষয়টি অগ্রাধিকার পেতে চলেছে বলে বিরোধী জোট সূত্রে খবর। এই আবহে বিরোধী দলগুলির সমবেত এই প্রতিবাদকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
সোমবার সকালে কংগ্রেস, তৃণমূল, আপ, সিপিএম, আরজেডি কিংবা জেডি(ইউ)-র মতো দলগুলির সঙ্গে বিক্ষোভে শামিল হয় এসপিও। মধ্যপ্রদেশের সদ্যসমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে আসন বণ্টন নিয়ে সমাজবাদী পার্টি (এসপি)-র সঙ্গে কংগ্রেসের যে মতান্তর প্রকাশ্যে চলে এসেছিল, তাতে অখিলেশ যাদব আর কংগ্রেসের সঙ্গে বিরোধী জোটে থাকবেন কি না, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল। তবে ‘ইন্ডিয়া’-র একটি সূত্র মারফত জানা যায়, পুরনো বিবাদ ভুলে বৈঠকে যোগ দেওয়ার বিষয়ে সম্মতি জানিয়েছেন মুলায়ম সিংহ যাদবের পুত্র। তার পর সোমবার অন্য বিরোধী দলগুলির সঙ্গে কক্ষত্যাগ করল এসপিও। এতেই ইন্ডিয়ার শরিক দলগুলির মধ্যে সংসদে কক্ষ সমন্বয়ের বিষয়ে তালমিলের বিষয়টি স্পষ্ট বলে অনেকে মনে করছেন। এই ঐক্যের ছবি বিরোধী বৈঠকের এক সপ্তাহ আগে ‘ইন্ডিয়া’র জন্য ইতিবাচক বলে মনে করা হচ্ছে।
তবে পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনী ফলে কংগ্রেসের সামগ্রিক ব্যর্থতা নিয়েও প্রশ্ন তুলতে পারে শরিক দলগুলি। সে ক্ষেত্রে কংগ্রেসকে জোট বজায় রাখতে অনেক নমনীয় অবস্থান নিতে হবে বলে মনে করছেন রাজনীতির কারবারিরা। জেডি(ইউ) কিংবা তৃণমূলের মতো দলগুলি দীর্ঘ দিন ধরেই আসন সমঝোতার বিষয়টি চূড়ান্ত করার উপরে জোর দেওয়ার আর্জি জানিয়েছে। লোকসভা ভোটের যে আর বেশি দেরি নেই, সে কথাও তাদের তরফে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে কংগ্রেসের একটি সূত্র মারফত, এই বিষয়ে বিলম্বেরও একটি ব্যাখ্যা দেওয়া হয়। বলা হয় যে, পাঁচ রাজ্যের ভোটে সাফল্য পেলে আসন সমঝোতায় দর কষাকষির বিষয়ে সুবিধাজনক অবস্থায় থাকত তারা। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে দর কষাকষিতে দুর্বল অবস্থানেই থাকতে হতে পারে হাত শিবিরকে।