n সনিয়া গাঁধীর নেতৃত্বে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে পড়ুয়াদের উপরে পুলিশি নিগ্রহের প্রতিবাদ জানিয়ে গেলেন বিরোধী নেতারা। একই সঙ্গে নয়া নাগরিকত্ব বিল প্রত্যাহারেরও দাবি তুললেন ডি রাজা, টি আর বালু, ডেরেক ও’ব্রায়েন, সীতারাম ইয়েচুরি, কপিল সিব্বলেরা। মঙ্গলবার। ছবি: পিটিআই।
লোকসভায় বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ-র বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা। কিন্তু রাজ্যসভায় তারা সংখ্যালঘু। তা সত্ত্বেও নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশ হয়েছে সংসদের উচ্চকক্ষে। এই আইনের বিরোধিতায় এখন উত্তাল নানা রাজ্য। তবু বিরোধীরা এখনও একজোট হতে পারল না। বিরোধীদের অনৈক্যের ছবি আজ আরও একবার স্পষ্ট হল।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন প্রত্যাহারের দাবিতে আজ কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীর নেতৃত্বে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করে বিরোধী দলগুলি। কিন্তু তাতে শামিল হয়নি মহারাষ্ট্রে কংগ্রেসের নতুন শরিক শিবসেনা এবং পুরনো শরিক এনসিপি। ছিল না মায়াবতীর বিএসপি, অরবিন্দ কেজরীবালের আম আদমি পার্টি, জম্মু-কাশ্মীরের পিডিপির মতো দল। অথচ আজই শিবসেনা প্রধান তথা মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশি হামলার ঘটনাকে জালিয়ানওয়ালা বাগের গুলি চালনার সঙ্গে তুলনা করে বিজেপিকে নিশানা করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশি হামলার সমালোচনা করেছে মায়াবতীর দলও। কিন্তু কংগ্রেসের সঙ্গে না গিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করার জন্য পৃথক সময় চেয়েছে তাঁর দল। একই কথা শিবসেনারও। দলের এক নেতার বক্তব্য, ‘‘কংগ্রেসের নেতৃত্ব মানার দরকার কী?’’
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন প্রত্যাহারের দাবিতে একটি স্মারকলিপি পাঠ করে তা রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের হাতে তুলে দেন সনিয়া। যা শুনে রাষ্ট্রপতি বলেন, তিনি যথাযথ পদক্ষেপ করবেন। বিরোধী দলের সঙ্গে এই বৈঠকের কোনও ছবিও তোলা হয়নি রাষ্ট্রপতি ভবনের তরফে। রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে বেরিয়ে সনিয়া বলেন, ‘‘সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন প্রত্যাহারের জন্য ১২টি বিরোধী দল রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপ দাবি করেছে। উত্তর-পূর্বের পরিস্থিতি এখন রাজধানী-সহ গোটা দেশে ছড়িয়ে পড়ছে।’’ জামিয়া মিলিয়ায় পুলিশি হামলা সম্পর্কে কংগ্রেস সভাপতি বলেন, ‘‘পরিস্থিতি গুরুতর। পুলিশ শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ সামাল দিতে গিয়ে মহিলা হস্টেলে ঢুকেছে, নির্মম ভাবে মেরেছে। নরেন্দ্র মোদীর সরকার সহমর্মী নয়। তারা যে ভাবে মানুষের কণ্ঠরোধ করে আইন এনেছেন, তা গ্রহণযোগ্য নয়।’’
আরও পড়ুন: মমতার দাবিতেই কোবিন্দকে কড়া চিঠি
সনিয়ার সঙ্গে কংগ্রেস নেতা আহমেদ পটেল, গুলাম নবি আজাদ, আনন্দ শর্মা, কপিল সিব্বলদের পাশাপাশি তৃণমূলের ডেরেক ও’ব্রায়েন, সিপিএমের সীতারাম ইয়েচুরি, সমাজবাদী পার্টির রামগোপাল যাদব, আরজেডি-র মনোজ ঝা-এর মতো নেতারা আজ উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু অনেক বিরোধী দল এখনও এক ছাতার তলায় আসতে পারল না। এ নিয়ে কংগ্রেসের নেতা গুলাম নবি আজাদের যুক্তি, ‘‘আবহাওয়া খারাপ বলে অনেকে আসতে পারেননি।’’