রাজ্যসভায় গুলাম নবি আজাদ।
রাজ্যসভার চলতি অধিবেশনে বিল পাশের পথ মসৃণ করতে আজ বিরোধী সংসদীয় দলনেতাদের সঙ্গে বৈঠক করল সরকারপক্ষ। ওই বৈঠকে বিতর্কিত চারটি অধ্যাদেশ পাশ করা নিয়ে আপত্তি তোলেন কংগ্রেস, তৃণমূল-সহ বিরোধী দলের নেতারা। তাঁদের মতে, এর মাধ্যমে রাজ্যের অধিকারে হস্তক্ষেপ করছে কেন্দ্র। বিরোধীদের প্রস্তাব, এগুলি সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হোক।
সূত্রের দাবি, বিষয়টি নিয়ে কিছুটা উত্তপ্ত হয়েছে বৈঠক। সংসদীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী বিরোধীদের জানান, বিল পাশ করানোর সময়ে হইচই করে তাঁরা সময় নষ্ট করলে বাদল অধিবেশনের সময়সীমা পাঁচ দিন বাড়িয়ে দেওয়া হবে। বৈঠকে উপস্থিত তৃণমূলের এক নেতা বলেন, ষাটোর্ধ্ব বহু সাংসদ অধিবেশনে যোগ দিচ্ছেন। করোনা আবহে যদি আরও বেশি দিন তাঁদের সংসদে আসতে বলা হয়, সে ক্ষেত্রে খারাপ কিছু হলে সরকারকে তার দায় নিতে হবে। প্রসঙ্গত, রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নায়ডু আজই মনমোহন সিংহ, পি চিদম্বরম-সহ ১৪ জন বয়স্ক সাংসদের নাম ঘোষণা করে জানান, এঁরা গোটা অধিবেশনে ছুটির জন্য আবেদন করেছেন।
আজকের বৈঠকে সরকারের তরফে উপস্থিত ছিলেন রাজনাথ সিংহ, প্রহ্লাদ জোশী, পীযুষ গয়ালেরা। বিরোধীদের মধ্যে কংগ্রেসের আনন্দ শর্মা, গুলাম নবি আজাদ, জয়রাম রমেশ, তৃণমূলের ডেরেক ও ’ব্রায়েন, এসপি-র রামগোপাল যাদব, টিআরএস-এর কে কেশব রাও, ডিএমকে ও বাম নেতারা উপস্থিত ছিলেন। যে অধ্যাদেশগুলি নিয়ে বিতর্ক হয়, তার মধ্যে তিনটি কৃষি সংস্কার সংক্রান্ত এবং একটি ব্যাঙ্কিং নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের। ব্যাঙ্কিংয়ের অধ্যাদেশটি পাশ করানোর ফলে সমবায় ব্যাঙ্কের নিয়ন্ত্রণ রাজ্যের হাত থেকে কেন্দ্রের হাতে নিয়ে আসা যাবে।