ফাইল চিত্র।
হয়তো সামান্য মচকাচ্ছেন, কিন্তু ভেঙে পড়ার ধাতই নয় উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের। অন্য দিকে রাজ্যের নেতৃত্বের প্রশ্নটি নিয়ে স্নায়ুর যুদ্ধ অব্যাহত রেখেছেন নরেন্দ্র মোদী। এই টানাপড়েনের মধ্যে এসপি-সহ রাজ্যের বিরোধী দলগুলির আশা, ২০২২-এর বিধানসভা ভোটে ভিতর থেকে দুর্বল হচ্ছে বিজেপি।
ভবিষ্যতে কী হবে, তা বলার সময় হয়তো এখনই আসেনি। কিন্তু রাজনৈতিক শিবিরের বক্তব্য, মোদী বনাম যোগীর এই স্নায়ুযুদ্ধ বিভিন্ন ভাবে সামনে চলে আসছে। মোদী তাঁর পছন্দের প্রাক্তন আমলা এ কে শর্মা চাইলেও রাজ্যের উপ-মুখ্যমন্ত্রী করতে পারেননি যোগীর আপত্তিতে। কিন্তু তাঁকে রাজ্য বিজেপির সহসভাপতি করে পাঠানো হয়েছে। দলীয় সূত্র বলছে, সরাসরি মোদীর প্রতিনিধি হিসেবে সেখানকার বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পে কাজকর্মের দেখভাল করবেন এ কে শর্মাই। এরই মধ্যে আজ নাটকীয় ভাবে উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রী তথা দলের প্রবীণ নেতা স্বামীপ্রসাদ মৌর্য কার্যত বোমা ফাটিয়ে বলেছেন, রাজ্যের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, তা স্থির হবে বিধানসভা ভোটের পর। স্থির করবে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
তাঁর এই মন্তব্য যথেষ্ট অস্বস্তিতে ফেলেছে যোগীকে। যদিও এ কে শর্মা অত্যন্ত বিনীত থেকে বোঝাতে চাইছেন যে তিনি যোগীর অনুগত এবং তাঁর নেতৃত্বেই লড়বেন। যোগীর নেতৃত্বে বিজেপি যে ২০১৭ সালের থেকেও ভাল ফল করবে সে কথাও তিনি বিজেপি রাজ্যসভাপতি স্বতন্ত্র দেব সিংহকে লেখা একটি চিঠিতে জানিয়েছেন। কিন্তু তাতে যোগীর উপরে চাপ খুব একটা কমছে না বলেই মনে করা হচ্ছে।
সব মিলিয়ে উত্তরপ্রদেশ নির্বাচন এগিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে বিজেপির কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য নেতৃত্বের মধ্যে টানাপড়েন অব্যাহত। গ্রাম পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপি খারাপ ফল করার পরে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ঘরে বাইরে ক্ষোভের মুখে। এক দিকে তাঁর আচরণে উত্তরপ্রদেশের বিজেপির একাংশ ক্ষুব্ধ। অন্য দিকে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ রুখতে রাজ্য প্রশাসনের ব্যর্থতার অভিযোগে নড়েচড়ে বসছেন মোদী-শাহ। বার বার বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের পাঠানো হচ্ছে লখনউয়ে। সেখানে আজ থেকে বিভিন্ন মন্ত্রী ও নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন, বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বি এল সন্তোষ এবং উত্তরপ্রদেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা রাধামোহন সিংহ। তাঁরা খতিয়ান নিচ্ছেন পরিস্থিতির। রাজ্যে আসন্ন জেলা পঞ্চায়েত সভাপতি ভোটের কৌশলও তৈরি করছেন তাঁরা।