—ছবি সংগৃহীত।
সংসদে পেগাসাস নিয়ে আলোচনার দাবিতে এ বার যৌথ বিবৃতি দিল ১৪টি বিরোধী দল। ফোনে আড়ি পাতার ঘটনার সঙ্গে জাতীয় নিরাপত্তার বিষয় জড়িয়ে রয়েছে, এই যুক্তিতে বাদল অধিবেশনের শুরু থেকেই আলোচনার দাবিতে সংসদের দুই কক্ষে ঝড় তুলেছেন বিরোধী সাংসদরা। যার জেরে কার্যত অচলই থেকেছে সংসদের কাজকর্ম। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পেগাসাস নিয়ে আলোচনা না-করতে চাওয়া আসলে এই সরকারের ‘উদ্ধত’ এবং ‘একগুঁয়ে’ মনোভাবেরই পরিচয়। সেই সঙ্গে বলা হয়েছে, সংসদে অচলাবস্থার জন্য আসলে দায়ী মোদী সরকারই।
বুধবার যৌথ বিবৃতি জারি করে শুধু আলোচনাই নয়, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের জবাবও দাবি করলেন মোট ১৮ জন বিরোধী সাংসদ। সেই তালিকায় রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খড়্গে, প্রবীণ এনসিপি নেতা শরদ পওয়ার থেকে শুরু করে রয়েছেন তৃণমূলের ডেরেক ও’ব্রায়েন, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, শিবসেনার সঞ্জয় রাউত-সহ সিপিএম, সিপিআই, ন্যাশনাল কনফারেন্স, ডিএমকে, আরজেডি, সমাজবাদী পার্টির নেতারা রয়েছেন।
সংসদের কাজকর্ম ভণ্ডুল করার জন্য কংগ্রেস, তৃণমূলকে বিঁধেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। সংসদ অচল করার কৌশলকে ‘সংবিধান এবং গণতন্ত্রের প্রতি অবমাননাকর’ বলেও ব্যাখ্যা করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর সেই দাবিকে খণ্ডন করে পাল্টা জবাবে মনমোহন জমানায় সুষমা স্বরাজ এবং অরুণ জেটলির মন্তব্য মনে করিয়ে দিয়েছেন বিরোধীরা। সুষমা সেই সময়ে বলেছিলেন, ‘‘সংসদ ভণ্ডুল করাও গণতন্ত্রেরই অঙ্গ।’’
সরকার যে ভাবে বিরোধীদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে, তা ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলা হয়েছে যৌথ বিবৃতিতে। পেগাসাস নিয়ে অমিত শাহের বিবৃতি দাবি করে বিরোধীদের বক্তব্য, তাদের আলোচনার দাবি মেনে নিয়ে সংসদীয় গণতন্ত্রকে সম্মান করুক কেন্দ্র।