লোকসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পিটিআই
রাজ্যসভার সদস্য নন। তাই ভোটাভুটির শেষে উচ্চকক্ষে গট গট করে ঢুকে সোজা গেলেন নতুন ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ নারায়ণ সিংহের কাছে। সবাই তখন ‘হরিকৃপা’, ‘হরি-ভরসা’ বলে রসিকতা করলেন। কিন্তু বিরোধী শিবিরের প্রার্থী বি কে হরিপ্রসাদকে বিদ্রুপ করতে গিয়েই গোলটি পাকালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
রাজ্যসভায় নিজের বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলে বসলেন, ‘‘ইয়ে বিকে হ্যায়, লেকিন কোয়ি বিকে নেহি।’’ অর্থাৎ, ওঁর নাম বিকে (হরিপ্রসাদ), কিন্তু তিনি বিক্রিই হলেন না। এখানেই থামেননি মোদী। রাজ্যসভায় সংখ্যালঘু হয়েও এনডিএ-র বাইরের দলের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সমর্থন নিয়ে বিরোধীদের পরাস্ত করার পর আত্মবিশ্বাসে ফুটছিলেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ভোটের পরিণাম তো জানাই ছিল। যাক, অন্তত বোতাম টিপে ভোট দেওয়ার অভ্যাসটা অনেকের হল।
ডেপুটি চেয়ারম্যান নির্বাচনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এমন লঘু মন্তব্য করার পরেও বিরোধীরা টুঁ শব্দ করেননি। কিন্তু কংগ্রেস পরে বলছে, এ’টি অধিকার ভঙ্গের বিষয়। দলে আলোচনা করে অধিকার ভঙ্গের নোটিসও দেওয়া হতে পারে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। রাজ্যসভায় আরজেডি-র সাংসদ মনোজ ঝা সরাসরি বেঙ্কাইয়া নায়ডুকে অভিযোগ করেন, প্রধানমন্ত্রীর এমন মন্তব্য রেকর্ড থেকে বাদ দিতে হবে। বেঙ্কাইয়া আশ্বস্ত করেন, তিনি খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেবেন।
মোদী অবশ্য হরিবংশকে সামনে রেখে আজ সুকৌশলে জয়প্রকাশ নায়ারণ থেকে গাঁধীর চম্পারণ, কলকাতা থেকে হায়দরাবাদ— বিভিন্ন অঞ্চল টেনে ভোটের তাস খেলেন। যে সব জায়গায় ঘুরে ঘুরে এ যাবত কাজ করেছেন নতুন ডেপুটি চেয়ারম্যান।