সংসদের বাইরে বিক্ষোভ বিরোধীদের। ছবি: সংগৃহীত।
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন মঙ্গলবার বাজেট পেশ করার পর থেকেই সমালোচনায় সরব হয়েছিলেন বিরোধীরা। যে ভাবে বাংলা-সহ একাধিক রাজ্যকে ‘বঞ্চনা’ করে বিহার ও অন্ধ্রপ্রদেশের জন্য ঢালাও বরাদ্দ ঘোষণা করা হয়েছে, তাতে এই বাজেটকে ‘সরকার বাঁচানোর বাজেট’ বলে কটাক্ষ করছে বিরোধী দলগুলি। এ সবের মধ্যেই বুধবার সকালে সংসদের বাইরে এককাট্টা হয়ে বিক্ষোভ ‘ইন্ডিয়া’ শিবিরের নেতারা। কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধী, লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী, রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খড়্গে থেকে শুরু করে তৃণমূলের কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, দোলা সেন, মহুয়া মৈত্র-সহ অন্যান্য সাংসদও সামিল হয়েছেন বিক্ষোভে। মঙ্গলবার পেশ করা বাজেটকে ‘কুর্সি বাঁচাও বাজেট’ বলে সুর চড়িয়েছেন কল্যাণ-সহ অন্যান্য বিরোধী নেতারা। স্লোগান উঠতে থাকে ‘লজ্জার জনবিরোধী বাজেট’।
খড়্গে বলেন, “এটি একটি ধ্বংসাত্মক বাজেট। এটি অন্যায়। এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হবে।” তাঁর দাবি, বাজেটে একাধিক রাজ্যের সঙ্গে অবিচার হয়েছে। সেই রাজ্যগুলি যাতে নিজেদের প্রাপ্য পায়, সে কারণেই তাঁরা বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন।
বাজেট পেশ হওয়ার পর মঙ্গলবার সন্ধ্যাতেই দিল্লিতে কংগ্রেস সভাপতি খড়্গের বাসভবনে বৈঠকে বসেছিলেন বিরোধীদের মিলিত মঞ্চ ‘ইন্ডিয়া’র নেতারা। সেই বৈঠকেই স্থির হয়, বুধবার সংসদ ভবন চত্বরে এই বিক্ষোভ কর্মসূচির বিষয়ে।
পেশ হওয়া বাজেটের বিরোধিতায় আগামী ২৭ জুলাই (শনিবার) নীতি আয়োগের বৈঠকও বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। নীতি আয়োগের বৈঠকে থাকবেন না কংগ্রেসের কোনও মুখ্যমন্ত্রী। সূত্রের খবর, ডিএমকেও সিদ্ধান্ত নিয়েছে নীতি আয়োগের বৈঠক বয়কটের। তবে সূত্রের দাবি, তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী নীতি আয়োগের বৈঠকে যাবেন। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ‘বঞ্চনার’ প্রতিবাদের একটি মঞ্চ হিসাবে তৃণমূল নীতি আয়োগের বৈঠককে ব্যবহার করতে চাইছে বলে সূত্রের দাবি।