—প্রতীকী ছবি।
প্রস্তাবিত ডিজিটাল ইন্ডিয়া বিলের অংশ হিসেবে এ বার থেকে তথ্য যাচাইয়ের পোর্টালগুলিকে সরকারের কাছে নাম নথিভুক্ত করাতে হবে। সূত্রের দাবি, ভুয়ো তথ্য এড়াতে ও তথ্যের প্রতি দায়িত্বশীলতা বাড়াতেই কেন্দ্রীয় সরকার বিষয়টিকে বাধ্যতামূলক করতে চলেছে। তবে অনেকেরই প্রশ্ন, সরকারের না-পসন্দ সংস্থাগুলি বা কেউ যদি সরকার-বিরোধী তথ্য পেশ করে, তাদেরও নাম নথিভুক্তকরণে অনুমতি দেওয়া হবে তো? নাকি সেই সংস্থাগুলির অস্তিত্ব বিপন্ন হতে পারে!
প্রস্তাবিত পরিকল্পনা যদি কার্যকর হয়, সে ক্ষেত্রে পর্যায়ক্রমে বিষয়টি প্রয়োগ করা হবে। প্রথম ধাপে পুরনো ও পরিচিত সংবাদ সংস্থাগুলির তথ্য যাচাই পোর্টালগুলিকে নথিভুক্তকরণের অনুমতি দেওয়া হবে। তথ্য যাচাইয়ের পোর্টাল-সহ বিভিন্ন ধরনের অনলাইন মধ্যস্থতাকারী প্ল্যাটফর্মগুলিকেও এর আওতায় আনা হবে। সংবাদমাধ্যমের একাংশের রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রস্তাবিত বিল কার্যকর হলে যে কোনও ডিজিটাল পরিষেবা, এমনকি সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে থাকা প্ল্যাটফর্মগুলিকেও এই আইনে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। ‘ডিজিটাল পার্সোনাল ডেটা প্রোটেকশন বিল, ২০২২’ এবং ‘ইন্ডিয়ান টেলেকমিউনিকেশন বিল, ২০২২’-র খসড়ার সঙ্গে এর সামঞ্জস্য রাখা হবে। সরকারি তথ্য সংরক্ষণের বিষয়টিও দেখা হবে। সরকারের বক্তব্য, অনলাইন পরিসরকে নিয়ন্ত্রণ করতে এটি একটি ‘সার্বিক আইনি
ব্যবস্থা’। শোনা যাচ্ছে, জুনের শেষ কিংবা জুলাই মাসের শুরুর দিকে ডিজিটাল ইন্ডিয়া বিলের প্রথম খসড়া তৈরি হয়ে যাবে। একটি সূত্রে দাবি, ‘‘খসড়া বিল তৈরির চূড়ান্ত পর্যায়ের কাজ চলছে। তথ্য যাচাইয়ের পোর্টালগুলিকে সরকারের কাছে নাম নথিভুক্ত করতেই হবে। তবে এমন পরিকল্পনাও রয়েছে, ছোটখাট সংস্থাগুলির নাম নথিভুক্তকরণের জন্য অনুমতি দেওয়া হবে না।’’
বেশ কিছু দিন ধরেই সরকারি ভাবে অনলাইন তথ্য যাচাইয়ের পোর্টালগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা চলছে। এ বছর এপ্রিল মাসে সরকার তথ্য-প্রযুক্তি আইন, ২০২৩-এর আওতায় একটি তথ্য যাচাই ইউনিট তৈরির কথা জানিয়েছে। আপাতত জানা গিয়েছে, এই ইউনিটের হাতে কোন খবর ‘ভুয়ো’, কোনটি ‘ভুল পথে চালিত করার মতো’, তা স্থির করার ক্ষমতা থাকবে।